রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা খুলে দেওয়া ও মাহমুদুর রহমান এর সাজা বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন কাউখালীতে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা অফিসের সময়সূচী মানছে না বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এমাদুলের পরিবারকে ভাণ্ডারিয়া বিএনপি’র আর্থিক সহায়তা প্রদান ভান্ডারিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণ সমাবেশ কাউখালীতে সমুদ্রগামী মৎস্যজীবীদের মাঝে চাল বিতরণ ভান্ডারিয়ায় পুত্রবধূর দায়ের কোপে শ্বশুরের মৃত্যু গণ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে এ দেশের মাটিতে এনে ফাঁসির দাবী ভাণ্ডারিয়া সংবর্ধনা সভায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভান্ডারিয়ায় বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছে গুলিবিদ্ধ নাঈম কাউখালীতে দেয়ালে দেয়ালে রং তুলির আঁচড়ে নতুন দেশের ছবি ইন্দুরকানীতে সাংবাদিকের মাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট  ভান্ডারিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত কাউখালীতে ছাত্রদলের মিছিল সমাবেশ কাউখালী থানা পুলিশকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করলেন উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ৯ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন ভবিষ্যতে রাজনীতি করা অনেক কষ্টকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পিরোজপুরে নিজের ঘর থেকে কৃষকের হাত পা বাধা মরদেহ উদ্ধার ভান্ডারিয়ায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পুনর্বাসিতদের প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন কাউখালীতে অংশীজনের অংশগ্রহণে মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল এবং সর্বোত্তম ব্যবহার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হারুনকে ডিবি থেকে বদলি ভান্ডারিয়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন
গণমাধ্যম অঙ্গণ এখন সন্ত্রাসী আর মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য হয়ে উঠেছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল!

গণমাধ্যম অঙ্গণ এখন সন্ত্রাসী আর মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য হয়ে উঠেছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল!

লেখক- মোঃ শিফাত মাহমুদ ফাহিম

লেখক- মোঃ শিফাত মাহমুদ ফাহিম: সাংবাদিকতা সম্মানজনক ও মহান পেশা একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।কেননা একটি দেশ বা রাষ্ট্রের সকল তথ্য উপাত্ত সহ চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল খুঁটিনাটি বিষয় সাংবাদিকদের সত্যে লিখনীর মধ্যে দিয়েই জনগণের সামনে ফুটে উঠে।

সাংবাদিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়েই দেশের জনসাধারণ জানতে পারে দেশে বা রাষ্ট্রের সার্বিক পরিস্থিতি।একটু ভিন্নদিকে যাই,কোন দেশে বা রাষ্ট্রের প্রধান মনে যদি,করে সেই দেশ বা রাষ্ট্রে একতন্ত্র কায়েম করবে।তাহলে সেই দেশে বা রাষ্ট্রের গণমাধ্যম অঙ্গণ আর প্রশাসনিক দপ্তর গুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলেই কাজ সম্পূর্ণ।

যাইহোক মূল কথায় আসি,গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীরা একটি দেশ বা রাষ্ট্রের বিবেক সেই সাথে তাঁরা সমাজের দর্পণ।এই পেশায় ১০০% সু-শিক্ষিত লোকজনরাই কাজ করে থাকে এই বাণী চিরন্তন সত্যে।তাই প্রশাসন সহ দেশের সর্বস্তরের জনগণ গণমাধ্যমকর্মীদের (সাংবাদিক) শ্রদ্ধা ও সম্মানভরা দৃষ্টিতে দেখে থাকে।

আর এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে কিছু আনাড়ী মার্কা সম্পাদক ও সাংবাদিক হয়েছে তারা স্বার্থ হাসিলের খেলায় মেতে উঠেছে।তারা নিজেরা কিছু অনলাইন পোর্টাল ও অনলাইন টেলিভিশন খুলে ইচ্ছে মতো সাংবাদকর্মী নিয়োগ দিয়ে যাচ্ছে আর সাথে বড় বড় বুলি ছাড়ছে।আসলে সত্যে বলতে কি? ঐসব আনাড়ী মার্কা স্বল্প শিক্ষিত বাবুরা জানেননা তাদের পোর্টাল গুলোর-ই কোন বৈধতা নেই।

সেই সাথে নেই কোন সরকারী নীতিমালা।তারপরও তাদের মুখের বুলি শুনলে মনে হয় তাদের কাছে “বিবিসি বাংলা” “আল-জাজিরা” সহ বিশ্বের বড় বড় মিডিয়া গুলো কিছু নয়।এসব কথা আর নাই বা বলি।এই সম্মানজনক পেশার দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী,চাঁদাবাজ সহ অপরাধ জগতের বড় বড় বাবুদের।

প্রেসকার্ড গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে তারা আগের চেয়ে আরও বেশি দ্বিগুণ গতিতে দাপিয়ে বেড়ায় সবস্থান।তারা জানে এ পেশায় থাকলে প্রশাসনের ঝামেলা ততোটা নেই বললেই চলে।তারা আরও ভালো জানে এই পেশাকে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সম্মান দিয়ে চলে।সেই সাথে প্রশাসন লোকজন গণমাধ্যমকর্মী তথা সাংবাদিকদের তাদের কাছের ভাই হিসাবেই মনে করে চলে।

সবকিছু মিলে এখন অপরাধ জগতের অপরাধী ব্যক্তিরা এ পেশায় গণহারে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।তারা অনেক ভালো করে জানে বর্তমানে এ পেশায় তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল।এই পেশায় থাকলে তাদের সাত খুন মাফ।এই ধরণের কুলাঙ্গার ব্যক্তিদের সাধারণত টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়ে থাকে কিছু ভুঁইফোড়া অনলাইন পোর্টাল ও অপ্রকাশিত কাগজের কিছু সম্পাদক বাবুরা।

তাদের কাজ টাকার বিনিময়ে প্রেসকার্ড বিক্রি করা। প্রতিনিধিদের কোন কিছু যাচাইবাচায় না করে তাদের গলায় রশি দিয়ে কার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া।বর্তমানে এই ধরণের কথিত সম্পাদক ও কথিত সাংবাদিকদের কারণে দেশে অপরাধের মাত্রা আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে।এরাই বাংলার বুকে সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি,মাদক ব্যবসা,রাজনৈতিক দল গোষ্ঠীর দালালী সহ প্রশাসনের সোর্স হিসাবে কাজ করে থাকে।

সত্যে বলতে “সাংবাদিক” শব্দের অর্থই এরা জানেনা।সাভার-আশুলিয়া সহ দেশের অধিকাংশ স্থানে এখন এ ধরণের কার্ডধারী সাংবাদিকদের অভাব নেই বললেই চলে।আমার চারপাশে লক্ষ্য করে আমি অনেক বড় বড় সিনিয়র সাংবাদিক দেখেছি তারা দিনে গার্মেন্টসকর্মী রাতে সাংবাদিক।আবার কেউ আটোরিক্সার ড্রাইভার,কেউ জুতার দোকানদার,কেউ চা বিক্রেতা,,কেউ বা ছিলেন বাসা বাড়ীর আয়া-বুয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

আফসোস!চায়ের দোকানে কাজ করা সার্টিফিকেট বিহীন ছেলেটি এখন শুধু বড় সাংবাদিক’ই নয়,
পত্রিকার সম্পাদক ও বটে।

এদের পাশে দাঁড়ালে নিজেই বড় বেশি লজ্জায় পড়ে যাই।কারণ ঐ ছেলেটির ”গা” থেকে এখনো চা,পা,বিড়ি সিগারেটের নোংরা গন্ধ যায়নি।বাস্তবতা থেকে বলছি, আমি নিজে স্বচক্ষে দেখেছি এরা নিজেদের নাম পর্যন্ত সঠিক ভাবে লিখতে ও বলতে জানেনা।তারপরও এরা নিজেদের বিশাল কিছু মনে করে চলে আর নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মগ্ন থাকে।মুরুব্বীরা গ্রাম্য ভাষায় বলে থাকে যে,”কুকুর গু খায় তাকে নাকি ভালো খাবার খাওয়ানো হলেও পরবর্তীতে আবার গু খেতেই যাবে।

অত্বপর আমি প্রকৃত কলম সৈনিক তথা সাংবাদিক ভাই/বোনদের উদ্দেশ্য বলছি,দয়া করে আপনারা এসব অপসাংবাদিক ও সম্পাদকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।নয়তো এরা এই মহান পেশার জাতকূল কিছুই রাখবেনা।এখনি সময় এদের হাত থেকে এই মহান পেশাটিকে রক্ষা করার।আসুন আমরা সবাই মিলে “সাংবাদিক” নামধারী সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী,নারী লোভী,অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে
বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলি, নিজেদের পেশাকে রক্ষা করি।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana
error: Content is protected !!