শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কাউখালীতে অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি জায়গা উদ্ধার করল উপজেলা প্রশাসন কাউখালীতে নাশকতায় মামলায় জামায়েত সেক্রেটারিসহ ৪জন গ্রেফতার কটুক্তির প্রতিবাদে পিরোজপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তানদের মানববন্ধন কাউখালী গাঁজা সহ এক ঔষধ ব্যবসায়ী গ্রেফতার মারা গেছেন ছারছীনার পীর কাউখালীতে বিআরডিবি অফিসের জনবল সংকট, কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগী জনগণ কাউখালীতে ৪০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক কাউখালীতে কৃষকদের মাঝে ফলের চারা বিতরণ বালু বোঝাই বাল্ক‌হেডের ধাক্কায় ব্রিজ ভে‌ঙে খা‌লে এক বছরেও পুণ:নির্মাণ হয়নি নাজিরপুরে যে কারনে মাকে কুপিয়ে হত্যা করলো ছেলে ৯ বছরের সাজার জন্য ৩৫ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না স্কুল ছাত্রী অপহরণের ৩৩ দিন হলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি কাউখালীতে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছেন হিন্দু শিক্ষক পিরোজপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে বিশেষ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন কাউখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে দেখা গেল সাপ কাউখালী উপজেলা অস্থায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই চিকিৎসক নেই বেড, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে কাউখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে হাইজিন কিট বিতরন পিরোজপুরে দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অথের্র চেক বিতরণ কাউখালীতে জমি জমা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪, গ্রেপ্তার ৪ নেছারাবাদে রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা প্রদান
‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও বন্ধ হচ্ছে না মাদকের কারবার

‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও বন্ধ হচ্ছে না মাদকের কারবার

সারাদেশে অবাধে বেচাকেনা হচ্ছে মাদক। এটা এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। মাদকদ্রব্যের ভয়াবহ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ২০১৮ সালের ৪ মে একযোগে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানে র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রায় ৪০০ মাদক কারবারি নিহত হয়। গ্রেফতার হয় দুই লক্ষাধিক মাদক কারবারি। কিন্তু তারপরও বন্ধ করা যায়নি মাদকের ব্যবসা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, মাদক নির্মূল হোক এবং সে লক্ষ্যে তারা নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বড়ো বড়ো শহরে মাদকবিরোধী অভিযানে তারা আশানুরূপ সফলতা পাচ্ছেন। কিন্তু তাদের বেগ পেতে হচ্ছে উপজেলাগুলোতে। কারণ হিসেবে তারা একটি দুষ্ট চক্রকে দায়ী করেছেন। যারা যে দল যখন ক্ষমতায় আসে সেই দলের আস্থাভাজন হয়ে নানা অপকর্ম করে।

এসব কর্মকর্তা আরো বলেন, দেশব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের প্রথম কয়েক মাসে মাদকদ্রব্যের সরবরাহ ও বিক্রি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক মাদক কারবারি নিহত হতে থাকে। আর এ কারণে অনেক মাদক কারবারি প্রাণভয়ে এলাকা থেকে অন্যত্র আত্মগোপন করে। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের চিহ্নিত মাদক স্পটগুলো ছিল মাদকসেবী শূন্য। কিন্তু সম্প্রতি আবার মাদক কারবারিরা বিশেষ করে উপজেলা শহরগুলোতে আগের মতোই মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। স্থানীয় সেই রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট দুষ্ট চক্র মাদক কারবারিদের আগের মতোই সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।

এই দুষ্ট চক্র সম্পর্কে তারা বলেন, যে দল যখন ক্ষমতায় আসে সেই দলের আশীর্বাদপুষ্ট এই দুষ্ট চক্র মাদক কারবারিদের শেল্টার দিয়ে থাকে। উপজেলাগুলোতে মাদক কারবারি ও মাদক স্পট সম্পর্কে সবারই ধারণা আছে। এদের সবাই চেনে। এই দুষ্ট চক্রের আশ্বাসের প্রেক্ষিতেই চিহ্নিত মাদক কারবারিরা আবার এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। তারা আবার আগের মতোই মাদক কারবার শুরু করেছে। জমে উঠতে শুরু করেছে চিহ্নিত মাদক স্পটগুলো। স্থানীয় প্রশাসন এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু শেষটায় ঐ দুষ্ট চক্রের কারণে তারা না দেখার ভান করছেন। এমনকি মাদকসহ আটক কারবারিদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এ কারণেই মাদক নির্মূল অভিযান মফস্সল এলাকাতে সফল করা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যেমন জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, তেমন মাদকের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদককে কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।’

র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘মাদকের সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক তাকে এই পেশা ছাড়তে হবে। কেউই র্যাবের অপারেশনের বাইরে থাকবে না। কার কী পরিচয়, অপারেশনকালে তা কোনো বিবেচ্য বিষয় হবে না।’

প্রসঙ্গত, সারাদেশে ৭০ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ সংখ্যা ৩৫ লাখের বেশি হবে না। মোট জনগোষ্ঠীর অনুপাতে এ সংখ্যা কতটা ভয়াবহ তা সহজেই অনুমেয়। সরকারি হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিদিন সেবন হয় ২০ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট। মিয়ানমার থেকে আমদানি হচ্ছে সেই মাদক। ২০১০ সালে ৮১ হাজার ট্যাবলেট আটক করা হয়েছিল। আর ২০১৯ সালে উদ্ধার হয়েছে ৫ কোটি ইয়াবা ট্যাবলেট। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করা হয়।

ইত্তেফাক/

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana
error: Content is protected !!