শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
ইন্দুরকানী প্রতিনিধিঃ
ইন্দুরকানী উপজেলায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ পিএসএফ ফিল্টার গুলো অকেজো, অগভীর নলকূপে আর্সেনিক এবং আয়রণ, গভীর নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব না হওয়ায় এলাকাবাসী খাবার পানির সংকট চলছে। নদী, খাল, পুকুরের পানি পান করছেন এলাকাবাসী। ফলে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে তাদের মাঝে।
এ উপজেলার তিন দিকে নদী থাকলেও বিশুদ্ধ পানির জন্য উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত চলছে হাহাকার । ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরে এ অঞ্চলের অধিকাংশ নলকূপ ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠেনি। পরে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর কিছু নলকূপ ও পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার) স্থাপন করলেও তা এক বছরের মধ্যে বিকল হয়ে যায় কারিগরী ত্রুটি এবং রক্ষনাবেক্ষনের আভাবে । পরে ঠিকাদারের মাধ্যমে পুনরায় মেরামত করলেও তা আর ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠেনী। এ উপজেলায় ১৫৬ টি পিএসএফের মধ্যে অধিকাংশই বিকল, অগভীর নলকূপ ৬৭০টি থাকলেও অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে গেছে। যেগুলো চালু আছে তার মধ্যে অধিকাংশই আর্সেনিক, আয়রণ ও লবণাক্ত পানিযুক্ত। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে পত্তাশী ও বালিপাড়া ইউনিয়নে গভীর নলকূপ সেট হয় না। শুধু পাড়েরহাট ইউনিয়নে কিছু এলাকায় কয়েকটি গভীর নলকূপ রয়েছে। এ উপজেলার পত্তাশী ও বালিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, পিএসএফ ফিল্টার গুলোর অধিকাংশই বিকল, অগভীর নলকূপে ভালো পানি উঠছে না। এলাকাবাসী পুকুর ও খালের পানিতে ফিটকিরি দিয়ে পান করছে। তেমনি এ উপজেলার অধিকাংশ হোটেল ও রেস্তোরায় সরাসরি খাল ও পুকুরের পানি ফিটকিরি দিয়ে ব্যাবহার করা হচ্ছে। এমনকি উপজেলা সদরে কোনো নলকূপ নেই। উপজেলা পরিষদের মধ্যে একটি পিএসএফ ফিল্টার থাকলেও দীর্ঘ দিন ধরে তা নষ্ট হয়ে আছে । সরকারি অফিসগুলোতে বোতলজাত পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। খাবার পানি সংকট নিরসনে বিশুদ্ধ পানির জন্য এ উপজেলায় রেইন হারভেস্টিং প্রকল্পসহ পানি বিশুদ্ধকরণে আলাদা প্রকল্প গ্রহণ করা অতিব জরুরি। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তেরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিমুল বড়াল জানান, এ উপজেলায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট রয়েছে। অধিকাংশ পিএসএফ ফিল্টার গুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিকল হয়ে গেছে মেরামতের জন্য নেই কোন বরাদ্দ। তবে বর্তমানে কিছু রেইন হার্ভেস্টিং প্রকল্প বরাদ্দ রয়েছে যাহা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম থাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসন সম্ভব হয়ে উঠেনা। এছাড়া ভ‚গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে পানি বিশুদ্ধ করন প্লান্ট নির্মান করে সমগ্র উপজেলায় পাইপ লাইন ও গ্রোথ সেন্টার সমুহে লবনাক্ততা দুরিকরণ প্লান্ট নির্মান করে উপজেলার জনসাধারণের বিসশুদ্ধ পানির সংকট দুরকরা সম্ভব।
উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যডঃ এম মতিউর রহমান জানান, এ উপজেলায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট রয়েছে। তেমনি পত্তাশী ও বালিপাড়া ইউনিয়নে গভীর নলকূপ সেট হয় না। এ উপজেলায় যতগুল পিএসএফ ফিল্টার রয়েছে তার বেশিরভাগই বিকল। বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।