শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন
খায়রুল আলম রফিক: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন বিল্ডিং এর ২,৩ ও ৭ তলা থেকে চুরি যাওয়া মালামালের কোন হদিস আজ পর্যন্ত মিলেনি। কিন্তু হাস্যকর বিষয় এই প্রায় তিন বছর পর মচিমহার সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় চুরির কথা লিপিবদ্ধ করে একটি জিডি করেছেন। জিডি নং- ৫১০ তারিখ ৬/১০/২০১৮। জানা গেছে, চুরি যাওয়া মালামালের আর্থিক পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এদিকে কোতোয়ালী মডেল থানা সূত্র জানা যায়, জিডিতে চুরির মূল সূত্র উল্লেখ থাকলেও থানা পুলিশ মামলা নিবে কিন্তু জিডিতে চুরির উল্লেখ থাকলে এটা মামলা পর্যায়ে পড়ে ।
কোতোয়ালী থানার তৎকালিন ওসি মোঃ কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মচিমহার এই চুরির সাথে একটি সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত । তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। ময়মনসিংহ জেলা জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এড. পীযুষ কান্তি সরকার বলেন, তিন বছর আগে মচিমহার চুরির ঘটনায় জিডি করা হাস্যকর । এটা সুনির্দিষ্ট মামলার পর্যায়ে পড়ে। জানা যায় ২০১৩ সনের জানুয়ারী মাসে ময়মনসিংহ গনপূর্ত মচিমহার ২,৩,৭ তলার সার্বিক কাজ সমাপ্ত করে মচিমহা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে দেয়। কাজ সম্পাদনের অন্যান্য ইকিউভম্যান্টের মধ্যে ছিল পুরো তিনটি তলার লাইটিং সরঞ্জামদি গ্যাস পাইপ লাইনের মূল্যবান যন্ত্রপাতি, মূলবান লাইট দামী অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও তিনটি বিল্ডিং কক্ষের যাবতীয় ফিটিংম সরঞ্জাম । কিন্তু অদৃশ্যভাবে গনপূর্ত কর্তৃক কর্ম সম্পাদনের চূর্ড়ান্ত রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর পরপরই এই ভয়াবহ চুরিটি সংঘটিত হয়।
মচিমহার কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রধান সিকিউরিটি কর্মকর্তা , সিকিউরিটি গার্ড, আছে ওয়ার্ড মাস্টার, ওয়ার্ড সর্দার রয়েছে,আছে পুলিশ ফাঁড়ি , আনসার বাহিনী ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদ কর্তুপক্ষ। এত সব বাহিনী থাকতে সরকারী একটি বিশাল হাসপাতালে এই চুরি কিভাবে সম্ভব হলো ? মূল্যবান আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি কিভাবে খোয়া গেল ? মচিমহার উপ-পরিচালক ডাক্তার লক্ষী নারায়নের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন বছর পর আমরা জানতে পেরেছি মচিমহার নতুন বিল্ডিং এ চুরি হয়েছে। তিনি আরও জানান, পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক থানায় জিডি করা হয়েছে।
সুত্র bd24live.com