রবিবার, ০৪ Jun ২০২৩, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন
রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের কাউখালী শহরের প্রাণকেন্দ্রের খালের ওপর সংযোগ সড়কের পাকা সেতু গত দুই বছর আগে বিধ্বস্ত হয়ে খালে পড়ে যায়। এতে শহরের দক্ষিণবন্দর ও উত্তর বন্দরের সাথে চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সংযোগ সেতুটি অদ্যবধি নির্মাণ না করায় এলাকাবাসি চরম দুর্ভোগের মধ্যে পারাপার হচ্ছেন। সেতুর অভাবে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষেরা। ভূক্তভোগি এলাকাবাসি লাভলু সিকদার জানান, কাউখালীর শহরের শ্রীগুরু আশ্রম হতে পশ্চিম দিকে সরকারি বালিকা বিদ্যালয় হয়ে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত সড়কটি শহরের অন্যতম সংযোগ সড়ক। এ সংযোগ সড়কে শহরের উত্তর বন্দর ও দক্ষিণ বন্দর এর মধ্যবর্তী একটি খালে বহু পুরাতন একটি পাকা সেতু দিয়ে মানুষের প্রাত্যহিক চলাচল নির্ভরশীল । উপজেলা সদরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন কচুয়াকাঠী খালের ওপর লোহার কাঠামোর ওপর পাকা সেতটিু ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আকস্মিক ধসে খালে পড়ে যায়। এতে শহরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে সেতু সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার জনসাধারণ ও ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ২০ বছর আগে কচুয়াকাঠী খালের ওপর এ লোহার সেতুটি নির্মাণ করে। দীর্ঘদীনে সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় কয়েকবছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ঝুঁকিপূণ সেতু দিয়েই প্রতিদিন শহরের এস,বি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, আমরাজুড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাজী হারুন আর-রশীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ কয়েক হাজার মানুষ দুর্ঘটনার শঙ্কা মাথায় নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে আসছিলেন। এ ছাড়া সেতু দিয়ে কাউখালী খাদ্য গুদামের মালামাল পরিবহন হয়ে আসছে। সেতুটি ধসের পর বিকল্প কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ। সাঁকোটি এখন নাজুক দশার ফলে চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। কাউখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী আরতী মন্ডল বলেন, আমাদের দুর থেকে রিক্সা/অটোরিক্সাযোগে আসতে হয়। কোন গাড়ি এ রাস্তায় আসতে চায়না ফলে, বাধ্য হয়ে হেটে আসতে হয়। সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেতু ধসের পর দুই বছর ধরে জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি বিরাজ করছে। প্রতিষ্ঠানের ৬০০ শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হতে হচ্ছে। সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়ছে। দুই বছরেও সারা মেলেনি। কাউখালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ মিলটন সেতু অভাবে বিষযটি নিশ্চিত করে জানান, সেতুটি এলজিইডির আওতাধীন কচুয়াকাঠী খালের ওপর ২০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতুটি দুইবছর আগে ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় শহরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে ভোগান্তি বিরাজ করছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সেতটি পূননির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিকার মেলেনি। এ বিষয়ে কাউখালী এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাফর হোসেন, সেতুর অভাবে জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, সেতুটি পুনঃনির্মাণ প্রক্রিয়াধীন আছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন বরাবরে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সেতুটি পূণনির্মাণ করা হবে।