শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
নারী বরাবরই পুরুষের আরাধ্য। তবে নারীদের বোঝা বড়ই কঠিন। অনেকেই মনে করেন, নারীরা সম্পর্ক থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যান। সম্পর্কের গভীরতা তারা বোঝেন না। সম্পর্ক থেকে আগ্রহ কমে গেলেই সরে যান। এমনকী যারা বিবাহিত, তারাও স্বামীর সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে চান না। এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে ভারতের এক গবেষণায়।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সবাই না হলেও ৭৭ শতাংশ নারী প্রেমিক বা স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রতিবেশীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
সমীক্ষায় এও দেখা গেছে, পরকীয়ার জন্য অনেক ডেটিং অ্যাপ আছে। সেখানে ক্রমেই ভিড় বাড়ছে। ভারত ভিত্তিক কোন একটি অ্যাপে এখন সদস্য সংখ্যা ৬ লাখের উপরে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ৩৪ থেকে ৩৯। এদের মধ্যে আবার নারীর সংখ্যা বেশি।
গবেষণা থেকে জানা যায়, বিবাহিত নারীরাই পরপুরুষের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তারা একঘেয়ে জীবন থেকে কিছুটা বিরতি চান। কেউ কেউ একঘেয়েমি কাটাতে সমকামীও হয়ে যান।
সমকামিতা প্রসঙ্গে ভারতের এ গবেষণায় বলা হয়, কোন নারী অন্য নারীর সঙ্গে বিছানা শেয়ার করা নিয়ে আর দ্বিধা করেন না। তারা সমকামিতার মধ্যে নতুনত্ব খোঁজেন। এ ব্যাপারে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি।
সমীক্ষা বলছে, ভারতের বেঙ্গালুরু, মুম্বাই ও কলকাতা শহরে এ প্রবণতা বেশি। সমীক্ষায় আরও জানা যায়, ৩১ শতাংশ নারী তাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান। ৫২ থেকে ৫৭ শতাংশ নারী ব্যবসায়িক ভ্রমণের সময় স্বামী বা প্রেমিকের সঙ্গেও প্রতারণা করে। তারা অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান।
বিবাহিত মহিলারা পরকিয়াতে বেশি জড়ানোর কারণ খোঁজ করেছেন একদল গবেষক। মূলত ৫টি কারণ পাওয়া গেছে এর পেছনে।
নিঃসঙ্গতা: চাকরি শেষে অনেক মহিলাই সন্ধের মধ্যে ঘরে ফেরেন। কিন্তু তাঁদের স্বামীরা দেরি করে ফেরে। অনেকের স্বামী আবার অনেক দূরে কাজ করেন। এর ফলে বিবাহিতাদের মধ্যে নিঃসঙ্গতা বাড়ে। এই জন্য পরকীয়ায় জড়ানোর সম্ভাবনা বাড়ে।
লোভ: বিবাহিত জীবনে যৌন-সম্পর্কে অখুশি থাকে।
বৌদ্ধিক তারতম্য: স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে বৌদ্ধিক তারতম্য, বা ইন্টেলেকচুয়াল ডিফারেন্সর কারণেও পরকীয়া হয়ে থাকে।
স্বামীর দৃষ্টি আকর্ষণের অভাব: নানারকম কারণে অনেকের ক্ষেত্রেই স্বামীর মনোযোগ পায়না। এ থেকেই আসে মনোভঙ্গ। এর থেকেই করে থাকে পরকীয়া।
অর্থ এবং ক্ষমতা: ভারতে,পরপুরুষের অর্থ এবং ক্ষমতার লোভে অনেকে ঘর ছেড়ে গেছেন। কিন্তু ভারতে নারীদের সংখ্যা এই ক্ষেত্রে অনেক কম।