মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন
দশম শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে খাওয়াদাওয়ার পরে গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করল এক দল কিশোর। ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে তারা। ভারতের আসাম রাজ্যে বিশ্বনাথ জেলায় ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ধর্ষকদের মধ্যে ছিল মেয়েটির প্রেমিকও। সে-ই পরে শ্বাসরোধ করে মারে ওই কিশোরীকে। পরে সবাই মিলে ওই কিশোরীকে খেতের মধ্যে গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। তবে অভিযুক্ত দু’জনকে ধরে ফেলে গ্রামবাসী। গণপিটুনিতে দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আহত এক কিশোরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বাকি পাঁচ অভিযুক্ত কিশোরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হবে। অভিযুক্ত সাত কিশোর গোহপুরের রজাবাড়ি এলাকায় ১ নম্বর চকলা গ্রামের বাসিন্দা। পরীক্ষা শেষের আনন্দে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে খানাপিনার আয়োজন করে। প্রতিবেশী ১২ বছরের কিশোরীকেও তাদের সঙ্গে যোগ দিতে নিয়ে আসে।
ওই কিশোরী রাতে বাড়ি না-ফেরায় পরিবারের মানুষ খোঁজ শুরু করেন। পরদিন খেতের পাশে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েটির দেহ পাওয়া যায়। প্রথমে এটি আত্মহত্যার ঘটনা মনে হলেও, ডাক্তারি পরীক্ষার পর জানা যায়, মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
মেয়েটির পরিবার অভিযুক্ত সাতজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের মধ্যে দুই কিশোরকে গ্রামবাসীরা খুঁজে বের করে গণপিটুনি দেয়। তাদের মধ্যে একজন মেয়েটির প্রেমিক বলে জানা গেছে। অন্যজন মেয়েটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল।
এদিকে ময়নাতদন্তের পরে কিশোরী মরদেহ সমাধিস্থ করে গ্রামবাসীরা। অভিযুক্ত কিশোরদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোমবার গোহপুর থানা ঘেরাও করে গ্রামের মানুষ। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে এলাকার শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে।
সুত্র bd24live.com