শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন
খায়রুল আলম রফিক: ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বি এ ডি সি) অফিসে গভীর ও অগভীর নলকূপে নতুন লাইসেন্স দেওয়া,লাইসেন্স নবায়ন এর ক্ষেত্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাযায়, অফিস সহকারী আব্দুল হাই এর সন্তুষ্টির উপরই লাইসেন্স পাওয়া না পাওয়া। বি এ ডি সি এর গাফিলতিতে উপজে’লার চৌদার এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকার ৫০ একর কৃষি জমি অনাবা’দী রয়ে গেছে। বোরো শষ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে শতাধিক প্রান্তিক কৃষক হতাশায় প্রহর গুনছে।লাইসেন্স প্রদানে বিধি অনুসরণ না করে একাধিক অগভীর নলকূপের লাইসেন্স নবায়ন করায় কোন কোন এলাকায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে বলে এমন অভিযোগ রয়েছে।
ভাড়ায় চালিত১ নং গভীর নলকূপ ম্যানেজার আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন, অ’বৈধভাবে অগভীর নলকূপে লাইসেন্স দিয়ে আমার স্কীমের ভিতরে সেচকার্য চা’লানোর ফলে আমি ও বি এ ডি সি অর্থনৈতিক ভাবে প্রতিবছরে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষ’তিগ্রস্থ হচ্ছি। ৪৭৩ নং গভীর নলকূপ ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, বি এ ডি সি অফিস সহকারী আব্দুল হাই প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাকে ম্যানেজার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
বালিয়ান ইউনিয়নের ছাইতানতলা গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, অগভীর নলকূপের লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন কৌশলে আমার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং তার চাহিদা মত ঘুষ দিতে পারায় আমি লাইসেন্স পাইনি ।ভবানীপুর ১ নং ওয়ার্ডের বিল্লাল হোসেন বলেন, গভীর নলকূপের জন্য বি এ ডি সি থেকে লাইসেন্স নিতে আমাকে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদা’য়ের বি’ষয়ে বি এ ডি সি অফিস সহকারী আব্দুল হাই এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে
বলেন,যা শুনেছেন তা কিছু সত্য কিছু মিথ্যা।
এ ব্যাপারে বি এ ডি সি উপজে’লা প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন, অনিয়মের বি’ষয়ে আমার কাছে দু চারজন অনিয়মের কথা বলেছে আমি তাদেরকে লিখিত অভিযোগ করার কথা বলেছি।
উপজে’লা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিক বলেন, বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমি এ বছর কিছু সংখ্যক লাইসেন্স দিয়েছি । আর অনিয়ম থেকে বের করে নিয়ে আসার সার্বিক চেষ্ঠা অব্যাহত আছে।