রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা খুলে দেওয়া ও মাহমুদুর রহমান এর সাজা বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন কাউখালীতে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা অফিসের সময়সূচী মানছে না বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এমাদুলের পরিবারকে ভাণ্ডারিয়া বিএনপি’র আর্থিক সহায়তা প্রদান ভান্ডারিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণ সমাবেশ কাউখালীতে সমুদ্রগামী মৎস্যজীবীদের মাঝে চাল বিতরণ ভান্ডারিয়ায় পুত্রবধূর দায়ের কোপে শ্বশুরের মৃত্যু গণ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে এ দেশের মাটিতে এনে ফাঁসির দাবী ভাণ্ডারিয়া সংবর্ধনা সভায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভান্ডারিয়ায় বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছে গুলিবিদ্ধ নাঈম কাউখালীতে দেয়ালে দেয়ালে রং তুলির আঁচড়ে নতুন দেশের ছবি ইন্দুরকানীতে সাংবাদিকের মাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট  ভান্ডারিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত কাউখালীতে ছাত্রদলের মিছিল সমাবেশ কাউখালী থানা পুলিশকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করলেন উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ৯ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন ভবিষ্যতে রাজনীতি করা অনেক কষ্টকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পিরোজপুরে নিজের ঘর থেকে কৃষকের হাত পা বাধা মরদেহ উদ্ধার ভান্ডারিয়ায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পুনর্বাসিতদের প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন কাউখালীতে অংশীজনের অংশগ্রহণে মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল এবং সর্বোত্তম ব্যবহার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হারুনকে ডিবি থেকে বদলি ভান্ডারিয়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন
মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক কন্যা হত্যা মামলার স্বাক্ষীর বাড়িতে বিস্ফোরক নিক্ষেপ

মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক কন্যা হত্যা মামলার স্বাক্ষীর বাড়িতে বিস্ফোরক নিক্ষেপ

বার্তা রিপোর্ট : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সর্বালোচিত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য সাংবাদিক কন্যা শিশু ঊর্মি (১০) হত্যা মামলার স্বাক্ষীর বাড়িতে রোববার রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই ঊমি হত্যা মামলার স্বাক্ষী মো. সৈয়দ বেপারী (৫৯) সোমবার (৩০ মার্চ) বিকেলে মঠবাড়িয়া থানায় সাধারণ ডায়রী (নং-১৪০২) করেছেন। সৈয়দ বেপারী উপজেলা উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত. তাজেম বেপারীর ছেলে।

জিডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে সৈয়দ বেপারীসহ তার পরিবারের সদস্যরা এবং একই উঠানে তার বড় ভাই মতি বেপারীর পরিবারের সদস্যরা খাবার খেয়ে অনেকেই শুয়ে পরেছেন এবং কিছু লোক বিভিন্ন আলাপ চারিতায় ব্যস্ত। রাত ১০ টার খানিক পরে হঠাৎ বিকট শব্দে ওই সকল পরিবারের সদস্যরা সহ আশপাশের লোকজন কেঁপে ওঠে। এসময় সকেলেই আতংঙ্কিত হয়ে উঠনে নেমে দেখতে পান কালো ধুমায় অন্ধকারচ্ছন্ন। এসময় আশপাশের লোকজনও ছুটে আসে। পোড়া বারুদের গন্ধে সকলের দম আটকে যাচ্ছিল। ঘটনাটি থানায় জানানো হলে ওই রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা যান।

সৈয়দ বেপারী জিডিতে আরও উল্লেখ করেন ঊর্মি হত্যা মামলার সে স্বাক্ষী হওয়ায় খুনি ছগির হয়তো ককটেল, হাতবোমা বা বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপ করেছে। ঊমি হত্যা মামলায় পুলিশের কাছে স্বাক্ষী দেয়ায় হত্যা মামলার একমাত্র আসামী ছগির আকন তাঁকে (সৈয়দ বেপারী) ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন-জখম করাসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, ছগির আমাদের স্ব-পরিবারে পুড়িয়ে হত্যা করার চেষ্টা করছে। ছগির আকন সৈয়দ বেপারীর প্রতিবেশী ও মৃত. কুদ্দস আকনের ছেলে।

উল্লেখ্য- গত ২০১৭ সালের ২১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে ঊর্মি বান্ধবীর বাড়ি যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুই দিন পর ২৩ জুলাই বাড়ির অদুরে একটি পরিত্যাক্ত বাগানের নালায় ঊর্মির ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ নিহত ঊর্মির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ২৩ জুলাই রাতে নিহত ঊর্মির পিতা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল অজ্ঞাত আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা (জিআর-২৫৫/১৭) করেন। এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ বখাটে ছগির আকনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন। প্রায় ১১ মাস অধিকতর তদন্ত শেষে এ হত্যা মামলায় একমাত্র ছগির আকনের (৪০) বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) মাজহারুল আমিন (বিপিএম) আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন।

ছগির উচ্চ আদালতের জামিনে এসে মামলার বাদী জুলফিকার আমীন সোহেলকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে ও স্বাক্ষীদেরকেও খুন-জখম করাসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। এতে মামলার বাদী সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একাধিক জিডিও করেছেন। সোহেল উপজেলা ওই উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত. মো. রুহুল আমীন আকনের ছেলে। সে দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। নিহত ঊর্মি ওই সময় স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো।

ঊর্মির খুনির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মঠবাড়িয়ার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়, অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক একধিক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। এমনকি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana
error: Content is protected !!