ইন্দুরকানী(পিরোজপুর)প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত দেশের জনপদে সংক্রমন এড়াতে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী মহল ইতোমধ্যে জারী করেছে কতিপয় নির্দেশনা। আর এসকল নির্দেশনা বাস্তবায়নে মহানগরী, জেলা ও উপজেলা তথা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় ইন্দুরকানী উপজেলা প্রশাসন খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা নিয়ে মানুষের দারে দারে।করোনা প্রতিরোধে গত ২৪ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল অফিস আদালতে ছুটি ঘোষণা এবং জন সাধারণকে নিরাপদে নিজ ঘরে অবস্থানের নির্দেশে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা। করোনার সংক্রমন ঠেকাতে দেশে চলমান পরিস্থিতিতে নিম্ম আয়ের মানুষের কষ্ট লাগবে বিনা কাজে অযথা ঘরের বাহিরে জনসমাগম রোধে তৎপর প্রশাসন এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের মানুষজন। কাজ না পেয়ে খাদ্যের অভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা। ঠিক সেই সময় খাদ্য সহায়তা নিয়ে অসহায়দের দারে দারে ইন্দুরকানী উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ৩০ মার্চ সোমবার উপজেলার বালিপাড়া ও পত্তাশী ইউনিয়নের ৪ শতাধিক পরিবারের মাঝে এইখাদ্য সহয়তা তুলেদেন এবং দুই ইউনিয়নে ৪০ টি পরিবারের হাতে নগদ পাঁচ শত টাক করে প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতী ইউপি সদস্য একুব আলী চৌকিদার প্রমুখ।প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারের নির্দেশে আমরা উপজেলার সকল দরিদ্র পরিবারের কাছে এই খাদ্য সহয়াতা পৌছে দিচ্ছি। আমরা গতকাল উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নে ১৫০ অসহায় পরিবারের নিকট খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। বিকালে উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের পত্তাশী বাজারে উপজেলার কলেজ মোড়ে, ও ঘোষেরহাট গোডাউন নামক স্থানে খাদ্য সহয়াতা প্রদান করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ এম মতিউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মাদ আল মুজাহিদ, পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, ইউপি সদস্য ফয়সাল মোর্শেদ কিছলু গাজী প্রমুখ। নি¤œ আয়ের মানুষ খাদ্য পেয়ে অত্যন্ত খুশি তারা বলেন এই দুর্যোগ সময়ে সরকারি সহয়াতা পেয়ে আমরা খুশি।