মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বনগ্রামে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আজর ফকির (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার সকাল ১০টায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই ঘন্টা ধরে এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে নিহত আজর ফকির ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত হামেদ ফকিরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে বনগ্রাম মধ্যপাড়ায় বিলের মধ্যে এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জুয়ার আসর বসিয়েছে। সেখানে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়া খেলতে লোকজন আসতো বলে অভিযোগ রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া ও মধ্যপাড়া এলাকার জুয়াড়ীদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এরই জের ধরে সোমবার বনগ্রাম মধ্যপাড়া ও পূর্বপাড়ার লোকজন একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র, ঢাল, সড়কি নিয়ে সড়কি নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়।
এ সংবাদ পেয়ে পশ্চিমপাড়ার ফিরোজ ফকিরের নেতৃত্বে ওই এলাকার লোকজন পাল্টা জবার দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এরই এক পর্যায়ে এই দুদল গ্রামবাসী বনগ্রাম বিলে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় আজর ফকির (৫০) নিহত হন। সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম, বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সালাহউদ্দিন আহমেদ, পশ্চিমপাড়ার নতুন ফকির, আরিফ সিকদার, রাব্বী মোল্লাসহ ২৫ জন আহত হয়েছে।
আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ ১০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসামিদের ধরতে এলাকায় অভিযান চালায়। লাশ গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান খান বলেছেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়েই পুলিশ পাঠিয়ে শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে এলাকায় অভিযান চলছে।