মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১২:৩২ অপরাহ্ন
করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় একটি ‘হার্টবার্ন’ জাতীয় ওষুধ পরীক্ষা করছেন নিউ ইয়র্কের হাসপাতালের চিকিৎসকরা। চীনা চিকিৎসকরা দেখতে পেয়েছেন বয়স্ক করোনা আক্রান্ত রোগীরা এসব ওষুধ সেবন করছেন। এতে বেঁচে থাকার হার আশাজনক। এরপরই নিউ ইয়র্কে ওই পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। নর্থওয়েল হেলথ এরই মধ্যে শনিবার আক্রান্ত ১১৭৪ জন রোগীর ভিতরে ১৮৭ জন আশঙ্কাজনকভাবে আক্রান্তের শরীরে পরীক্ষামুলকভাবে প্রয়োগ করেছেন ফ্যামোটিডিন (যা পেপসিড ব্রান্ড নামের মুখে খাওয়ার ওষুধ)। নর্থওয়েলের রিসার্স বিষয়ক সাবেক নিউরোসার্জন ইনচার্জ কেভিন ট্রেসি বলেছেন, এর ফলে ৩৯১ জন রোগীর অন্তর্বর্তী ফল কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। তিনি সায়েন্স ম্যাগাজিনকে এ কথা বলেছেন। চীনের উহানের চিকিৎসকরা দেখতে পান যে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৮০ বছরের ওপরে বয়সীদের প্রতি ৫ জনে একজন মারা যাচ্ছেন। তবে যারা বেঁচে থাকলেন তারা ‘হার্টবার্ন’-এর জন্য এই জাতীয় পিল সেবন করছিলেন। এর ফলেই এই ওষুদের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এতে দেখা যায়, খুবই নাজুক স্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষের মধ্যে এর ফলে বেঁচে থাকার হার অনেক বেশি। এক্ষেত্রে গরিব রোগীরা ওমিপ্রাজলের পরিবর্তে ফ্যামোটিডিন ব্যবহার করতে থাকেন। কারণ, ওমিপ্রাজলের চেয়ে এটির দাম কম। ফ্যামোটিডিন বিক্রি হয় ব্রান্ড নাম পেপসিড নামে। আর ওমিপ্রাজলের ব্রান্ড নাম প্রিলোসেক। ৬২১২ জন রোগি, যাদের বেশির ভাগই ভেন্টিলেটরে ছিলেন, তাদের মেডিকেল রেকর্ড ঘেঁটে চিকিৎসকরা দেখতে পেয়েছেন, যেসব রোগী ফ্যামোটিডিন ব্যবহার করেছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর শতকরা হার মাত্র ১৪ ভাগ। অন্যদিকে ওমিপ্রাজল যারা সেবন করেছেন তাদে মধ্যে এই হার শতকরা ২৭ ভাগ।