শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মাঝেই আগামী ৯ মে থেকেই শুরু হতে চলেছে রবার্ট লেবানডস্কি, টমাস মুলার, জ্যাডন স্যাঞ্চোদের বুন্দেশলিগা। তবে এই লিগ চালু হলেও খেলোয়াড়দের মানতে হবে বুন্দেশলিগা কর্তৃপক্ষের তৈরি করা নিয়মবিধি। এদিকে সারা বিশ্বের কাছে এটি ‘মডেল নীতি’ বলে গণ্য হবে বলে দাবি বুন্দেশলিগা কর্তাদের।
জানা গেছে, নিয়মবিধি বেশিরভাগটাই মানতে হবে ফুটবলারদের। এজন্য একটা গাইডলাইনও গত রবিবার প্রকাশ করেছে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন। লিগ শুরু হলেও তা দর্শকশূন্য থাকছে।
গাইডলাইন অনুযায়ী দুই টিম, রেফারি, কর্তা, ক্যামেরা ক্রু, বলবয়, মেডিকেল টিম, মাঠ কর্মী, নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ম্যাচে তিনশো জনের বেশি ঢুকতে পারবেন না। মাঠে বল বয়ের সংখ্যা কমিয়ে চারজন করে দেওয়া হচ্ছে। ফুটবলারদের মাঠে আনতে বা ফেরত নিয়ে যেতে একাধিক টিম বাসের ব্যবহার করা হবে। যাতে ফুটবলাররা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন। টিম মিটিংয়ের জন্য কনফারেন্স রুম বড় করার কথা বলা হয়েছে। প্র্যাক্টিসে ফুটবলারদের নিজের দায়িত্বে আলাদা গাড়িতে আসতে হবে। কম প্র্যাক্টিস হবে। কোচ মাস্ক পড়ে দূরত্ব বজায় রেখে নির্দেশ দেবেন। মাঠ বা ক্যান্টিনে কোনো খাবার খাওয়া যাবে না। তা খেতে হবে হোটেলে বা নিজেদের বাড়িতে। যে সমস্ত ফুটবলার হোটেলে থাকবেন, তাঁরা নিজের ঘর নিজে পরিষ্কার করবেন ও আলাদা ওয়াশিং মেসিনে নিজেদের জামা-কাপড় ধোবেন।
এতে ফুটবলারদের ব্যক্তিগত ব্যাপারেও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, ফুটবলাররা যেন লিগ শুরুর আগে থেকে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত না হন। এমনকি বান্ধবীকে চুম্বনও না করেন। খেলোয়াড়দের এবং তাঁদের নিকটজনদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা হবে সপ্তাহে দুই বার। ম্যাচের আগে ফুটবলারদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। হাইজিন অফিসার উপস্থিত থাকবেন প্র্যাক্টিস ও ম্যাচের আগে। তাঁকে ফুটবলাররা তাঁদের জীবনযাত্রার যাবতীয় খুঁটিনাটি জানাতে বাধ্য থাকবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ করোনার প্রভাবে লিগ বন্ধ হয়েছিল। ১৮টি টিমের লিগের এখনও ১৩টি করে ম্যাচ বাকি। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই তা শেষ করতে চায় লিগ কমিটি। ৯ মে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্যাঞ্চো-হাল্যান্ডদের ডর্টমুন্ড খেলবে টিমো ওয়ার্নারদের লিপজিগের সঙ্গে। লিপজিগ রয়েছে তিন নম্বর স্থানে। আর এক নম্বরে আছে বায়ার্ন মিউনিখ।