গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দৈনিক গ্রামীন দর্পন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রমজান আলী প্রামাণিক (৪৫), একই পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শান্ত বণিক (৩৫) ও অনলাইন পোর্টাল নরসিংদী প্রতিদিনের প্রকাশক ও সম্পাদক শাওন খন্দকার শাহিন (৩২)। এই ঘটনায় নরসিংদীতে সাংবাদিক সমাজে নিন্দার ঝড় ওঠেছে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল দুপুর ১২ টার দিকে মামলার বাদি তাঁর ফেসবুক আইডিতে ঢুকে দৈনিক গ্রামীণ দর্পন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ‘ঘোড়াশালে চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যা পুলিশের’ শিরোণামে একটি এবং নরসিংদী প্রতিদিনে ‘ঘোড়াশাল ফাঁড়িতে নেওয়ার পর মৃত্যু, অভিযোগ পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ শিরোণামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন দুটোতে ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ও মামলার বাদি জহিরুল আলমের বরাত দিয়ে একটি বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে মুঠোফোন কিংবা সরাসরি ওই সাংবাদিকরা পরিদর্শক জহিরুল আলমের সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ না করেই বক্তব্য করেছে। এতে স্থানীয় অটোচালক ও ইজিবাইক চালকরা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। এতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পলাশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, মামলার প্রাথমিক তদন্তে ও উদ্ধারকৃত আলামতের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এরই প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।