শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ত্রান চাওয়া নিয়ে হামলায় ২ নারী সহ ৭ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৫ মে) রাতে উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের ৭নং ছৈলাবুনিয়া গ্রামে।
হামলায় স্থানীয় ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫), কদম আলী শিকদার (৫৫), শহীদ হাওলাদারের পুত্র সাব্বির হাওলাদার (২২), সিরাজ উদ্দিন বেপারীর স্ত্রী ফুল মালা বেগম (৬০), রাজু শিকদার (৫০), রফিক বেপারী (৫০), আব্দুল আজিজ বেপারী (৬০)আহত হয়েছেন।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত সুফিয়া বেগম জানান, ‘ওই রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সরকারী আর্থিক অনুদান প্রদানে বিষয় জানতে চাইলে এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায় তার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে আমাদের আহত করে’।
স্থাণীয়রা জানান, ‘ওই ইউপি সদস্য সম্প্রতি স্থাণীয়দের সরকারী ঘর সহ বিভিন্ন সাহায্য দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন। আর এ জন্য সরকারী অনুদানের টাকা প্রদানের তালিকায় স্বজন প্রীতি করেছেন’।
হামলায় আহত কদম আলী শিকদার জানান, ইউপি সদস্য মন্টু এদবর তার ৫০/৬০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঢুকে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের ৭ জন আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মন্টু এদবর ওই হামলায় ৪/৫ জন আহতের কথা স্বীকার করে জানান, ওই এলাকার জাহাঙ্গির হোসেন শিকদারের নাম সরকারী অর্থিক অনুদানের তালিকায় না থাকায় শুক্রবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় স্থাণীয় রফিকের চায়ের দোকানের সামনে বসে আমার উপর হামলা করে। এ নিয়ে রাতে শালিশ বৈঠক হয়। এসময় সেখানে থাকা আমার লোকজনের উপর স্থানীয়রা হামলা করে। ওই সময় অন্ধকারের মধ্যে কারা কাদের উপর হামলা করেছে তা আমার জানা নেই। তিনি আরো জানান, ‘ওই আর্থিক অনুদানের তালিকা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের লোকজন করেছেন। আমি তালিকার ব্যাপারে কিছু জানি না’।
স্থাণীয় ইউপি চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারী জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে শুনে সেখানে গিয়াছিলাম। ২/১দিনে মধ্যে শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিট করে দিবো। শুক্রবার রাতে সরকারী আর্থিক সাহায্য বঞ্চিত এক ব্যাক্তি ইউপি সদস্য মন্টু এদবরকে মারধর করেছে । এ নিয়ে ওই রাতে শালিশ বৈঠবে বসলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি’।
থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ মো. মুনিরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।