স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি :
পিরোজপুরে নেছারাবাদ স্বরূপকাঠীর উপজেলার ১নং বলদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুমন হাওলাদারের নামে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে ।৮ নং ওয়ার্ডের একাংশ উড়িবুনিয়া গ্রামের হত দরিদ্র জনগোষ্ঠী। ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম তালুকদার বলেন ,করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর, যখন মহামারিতে রূপ নেয়। ঠিক তখন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কর্মহীন ও হত দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হয়। কিন্তু অসৎ সুমন মেম্বার আমাদের দ্বারা চার সদস্যের একটি কমিটি করে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার জন্য। অথচ আজ পযর্ন্ত এই এলাকায় তেমন কোন সরকারি খাদ্যসামগ্রী ছোঁয়া লাগেনি এবং দেয়া হয়নি। যার কারণে আমি এই কমিটি থেকে বের হয়ে আসছি। অন্যদিকে ওই এলাকার আছিয়া বেগম ৬০০০টাকা থেকে ৩০০০হাজার টাকা নিয়ে যায় সুমন মেম্বার।এবং ঠিক একই রূপে মালেকা বেগমের বিধবা ভাতা বাতা থেকে ৬০০০ টাকা থেকে ৩০০০ হাজার টাকা নিয়ে সুমন মেম্বার । সুমন মেম্বার তাদেরকে বলেন অনেক খরচা হয়েছে তো উপরের স্যার কি ম্যানেজ করতে হইবে ৩০০০টাকা লাগবে বলেন সুমন মেম্বার।এবং আছিয়া বেগমের এর নাতিন তালাকের মারফত ৮০০০ টাকা নিয়ে যায় ওয়ার্ড মেম্বার সুমন হাওলাদার। মৎস ভাতা দেয়ার নাম করে রিপনের ও মনির রিপন বলেন মৎস্য ভাতা দেওয়ার জন্য টাকা লাগবে না দিলে ভাতা কাট হবে না, করার জন্য টাকা দিতে হবে নিকট ৩০০০ টাকা। অসহায় হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ হান্নান তালুকদার ,তার পা দুটি হারিয়ে পঙ্গু অবস্থায় বাসায় বসে আছে দেখার কেউ নেই। অথচ কষ্টের মধ্যেও জীবন-যাপন কাটাচ্ছে হান্নান, একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে কেউ আসেনি হান্নানের কাছে। অবশেষে এখানে ওখানে ছুটে বেড়াচ্ছে হান্নান অবশেষে শরণাপন্ন হন সুমন মেম্বারের কাছে। পঙ্গু ভাতা কার্ডের করার জন্য টাকা দিতে হবে ১৫০০ টাকা। ঠিক সুমন মেম্বার কলে,বলে কৌশলে টাকা নিয়ে নিলো ১৫০০টাকা। আজও হান্নান তালুকদার কিছুই পেল না । সুমন মেম্বারের বিরুদ্ধেে আরো অভিযোগ , হালিমা বেগমের (৮৫) অসহায় নারী ও স্বামী নেই বয়স হিসাবে পাওয়ার কথা। তাও পাইনি শরণাপন্ন হন মেম্বারের কাছে ,আমি সুমন মেম্বারের কাছে অনুরোধ করা সত্ত্বেও আমাকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়নি, রহিমা বেগম (৮০) বলেন আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট তারাও বয়স্ক ভাতা পায় কিন্তু আমি চাইলে আমার নিকট দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা দাবি করেন। সুমন মেম্বার ওই এলাকায় চার সদস্যের কমিটির রুবেল মাস্টার নিজেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বলেন ,
সব কিছু তার কথা চলে, সবাই তার কাছে মেনে প্রতিনিধি পরিচয়ে সুমন মেম্বারকে নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে এলাকাবাসী জা অভিযোগ করেন।