রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে দাগী চোর নিহত ভান্ডারিয়ায় বিএনপির ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান কাউখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী ভান্ডারিয়ায় পানিতে ডুবে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কাউখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভাণ্ডারিয়ায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা ওড়েনি কাউখালীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত ইন্দুরকানীতে রোযাদারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ বিআরটিসি’র বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সুপারভাইজার ও এক যাত্রী নিহত- আহত-২৫ ওটিটিতে পাঠানের মুক্তির পর ক্ষুব্ধ ভক্তরা রোজা শুরু শুক্রবার ভান্ডারিয়াকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় কাউখালীতে আরো ১০০ গৃহহীন পরিবার পেল ঘর আফিফ-সোহানকে বাদ দিয়ে টি-টোয়েন্টির দল ঘোষণা বাংলাদেশের ‘খুশি আছুন্তি, জমি দেখুন্তি, নবীনজির সঙ্গে মিলুন্তি’, বললেন মমতা কাউখালীতে কেউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নাজিরপুরে কলেজ ছাত্রী লামিয়া হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কাউখালীতে ৭৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহানা ছিদ্দিকা এর ইন্তেকাল ভান্ডারিয়া বন্দর সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধণা অনুষ্ঠিত
প্রেমিক ও বন্ধুদের গণধর্ষণে মৃত্যু হয় লিপির, গ্রেফতার ৫

প্রেমিক ও বন্ধুদের গণধর্ষণে মৃত্যু হয় লিপির, গ্রেফতার ৫

ময়মনসিংহের ভালুকায় গণধর্ষণের পর লিপি আক্তার নামে এক মিল শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (২৩ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ভালুকা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন। গত ১৯ মার্চ বিকেলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পূর্ব পাশে বিলাইজোরা খালের সেতুর পাশে থেকে লিপি আক্তারের অর্ধগলিত লা’শ অজ্ঞাত অবস্থায় উদ্ধার করেছিলো পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রকিবুল ইসলাম (১৯), হৃদয় মিয়া (১৮), জয়নাল (২০), মামুন (১৮) ও রাব্বি (২২)। এদের মধ্যে হৃদয়ের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার ধোবাউড়া উপজেলার হরিণধরা গ্রামে। তিনি উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। এ ছাড়া অন্যদের বাড়ি ভালুকা উপজেলায়। পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গত ১৯ মার্চ বিকেলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পূর্ব পাশে বিলাইজোরা খালের সেতুর পাশে থেকে একটি অর্ধগলিত নারীর অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন নূর হোসেন নামের এক ব্যক্তি লাশ দেখে শনাক্ত করেন, এটি তার মেয়ে লিপি আক্তার। নূর হোসেনের বাড়ি উপজেলার কংশেকুল গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে জামিরদিয়া এলাকায় থাকেন। লিপি আক্তার পাশের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় ‘এএ ইয়ার্ন’ নামের একটি কারখানায় চাকরি করতেন। গত ১৫ মার্চ লিপি আক্তার নিখোঁজ হন। ১৭ মার্চ গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন লিপির বাবা নূর হোসেন। ২০ মার্চ (লিপির লাশ শনাক্তের দিন) নূর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

৬১ দিন পর গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে রকিবুল ইসলাম, হৃদয় মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জয়নাল, মামুন ও রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে রকিবুল ও হৃদয় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার এসআই ইকবাল হোসেন জানান, লিপি আক্তারের লাশ হওয়ার ঘটনা বিস্তারিত স্বীকার করেছেন রকিবুল ও হৃদয়। রকিবুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে লিপি আক্তারের। পরে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর লিপি বিয়ের জন্য চাপ দেয় রকিবুলকে। কিন্তু রকিবুল তাতে রাজি না হয়ে কিছুটা যোগাযোগ কমিয়ে দেয় লিপির সাথে। গত ১৪ মার্চ রকিবুল আরো কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে লিপিকে গণধর্ষণের পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক ১৫ মার্চ রাত ১০টায় লিপির কারখানা ছুটি শেষে ভালুকা উপজেলার কড়ুইতলা মোড়ের উত্তর পাশে একটি গভীর বাগানে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে লিপির হাত বেঁধে রাব্বি, মামুন, রকিবুল, আশিক, হৃদয় ও জয়নাল ধর্ষণ করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই লিপির মৃত্যু হয়। পরের দিন ১৬ মার্চ রাত ১০টায় লিপির লাশ ওই স্থানে ফেলে রেখে যায় এই আসামিরা। এ বিষয়ে মামলা তদারকি কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, ‘লিপি হত্যামামলাটি ছিল ক্লো-লেস। রহস্য উদঘাটনে বেশ বেগ পেতে হতে হয়েছে। কারণ, ওই মেয়ের পরিবারের অন্য সদস্যরা বাক-প্রতিবন্ধী। তারা কোনো ধরণের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেনি। মামলার রহস্য উদঘাটন করতে এক দিকে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে তদন্ত কর্মকর্তাকে ছদ্মবেশ ধারণ করে আসামিদেরকে শনাক্ত করতে হয়েছে।’ সূত্র: নয়াদিগন্ত

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana