শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন
স্কুলছাত্রী হত্যার ৭ দিনেও মামলা নেয়নি জামালপুর পুলিশ
জামালপুরের নজরগঞ্জ এর ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল এই মেয়েটা।হত্যাকাণ্ডের ৭ দিন পরেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ওই মেয়ের বাবা জামিল মিয়া। মেয়ের বাবা তোর প্রতিবেশীর প্রান্ত নামের এক ছেলের সঙ্গে যৌতুকসহ বিয়েতে রাজি না হওয়ার কারণে অর্থসহ তার সাথীরা প্রিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ওরে বিষ পান করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন রিয়ার বাবা জামাল মিয়া। পুলিশ এই ঘটনায় মামলা না নেওয়ার কারণে প্রান্ত এবং তার পরিবার প্রিয়া ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় মানিকগঞ্জ জেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া ছবি পাড়া গ্রামের ইসরাফিল হোসেন বাবলুর ছেলে মহাইমিনুল ইসলাম প্রান্ত প্রতিবেশী আক্তারকে স্কুলে যাতায়াতের সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। ষষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করতেন প্রিয়া আক্তার।এই ঘটনা যখন প্রিয়া আক্তার তার পরিবারকে জানায় প্রিয়া আক্তার এর পরিবার গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিচার চাইলে উল্টো প্রান্ত ও তার পরিবারের লোকজন তাদেরকে হত্যা করার হুমকি দেন। পরবর্তীতে প্রান্ত আরো বেপরোয়া হয়ে যান এই মেয়েটির প্রতি।মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য হত্যার হুমকি দেন এবং নানা প্রলুভান দেখান।
পরে প্রান্তের পরিবার গত ২৪ মে রাতে প্রিয়াদের বাড়ি গিয়ে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক সহ প্রিয়াকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন কিন্তু জামিল বিয়েতে রাজি না হলে প্রিয়াকে অপহরণ ধর্ষণ ধর্ষণের পর হত্যার হুমকি দিয়েছেন তারা। এর কিছুদিন পর ৩০ মে রাত প্রকৃতি ডাকে তাকে ঘরের বাইরে গেলে আর ফিরে আসেনি প্রিয়া, অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায় না,পরদিনন দিবাগত রাত দুইটার দিকে স্থানীয় ধানক্ষেতের আইলে মুখে বিষ সহ অর্ধমৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, হসপিটালে ভর্তি থাকা অবস্থায় ভোর পাঁচটায় প্রিয়া মারা যায়।
জামালপুর সদর থানা পুলিশ জামালপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ দেখে এবং ময়নাতদন্ত করার পর মরদেহ হস্তান্তর করলে বাড়িতে নিয়ে প্রিয়াকে দাফন করা হয়। তারপর প্রিয়ার বাবা প্রান্ত সহ তার পরিবারের অন্যান্যদের উপর মানিকগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন, কিন্তু থানা পুলিশ মামলা নিতে না চাওয়ায় তিনি প্রান্ত সহ তার পরিবারের পাঁচ জনের উপর অভিযোগ দেন ,প্রিয়াকেে অপহরণ করে বিষ প্রয়োগ করে মারা হিয়েছে। এই ঘটনাকে ভিন্ন দিকে মোড় নেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানান মেয়েটির বাবা।
মোঃ রফিকুল ইসলাম মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জানান জানান মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে এমন কোন অভিযোগ থানায় এখন পর্যন্ত আসেনি তাছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আমরা এখনো হাতে পাইনি ।ময়নাা তদন্ত শেষে আমরা বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করবো।এরর আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
সুত্র BD Country News 24