মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০১:৪১ অপরাহ্ন
তরিকুল ইসলাম, পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ এ বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে দাখিল পরীক্ষায় পাশের হার ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ হলেও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পাঁচটি মাদ্রাসার কোন শিক্ষার্থীই পাশ করতে পারেনি। এ পাঁচ মাদ্রাসা থেকে ৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিলো। তেলিখালী ইউনিয়নের হরিনপালা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে সবাই ফেল করে। এই তালিকার ধাওয়া ইউনিয়নে রয়েছে দু’টি মাদ্রাসার পশারিবুনিয়া ওয়ারেস আফসারিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ১৪ জন পরীক্ষার্থী এবং পশ্চিম রাজপাশা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংগ্রহন করলে তার মধ্যে কোন পরীক্ষার্থী পাশ করেনি। ভিটাবাড়িয়া উনিয়নের জামেয়া-ই- উম্মুল কুরআন দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা অংশগ্রহন করে সবাই ফেল করে। নদমূলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের চরখালী দাখিল মাদ্রাসা (নন এমপিও ভূক্ত) ১১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কেউ পাশ করেনি। এ ছাড়া উপজেলার তিন মাদ্রাসা থেকে একজন করে মোট তিন জন পাশ করেছে। এ তিন মাদ্রাসা থেকে ৪১ জন শিক্ষার্থী সাধারণ বিভাগে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। উপজেলায় একটি কামিল, দুটি ফাযিল ও ছয়টি আলিম মাদ্রাসাসহ ৩৬ টি মাদ্রাসার মধ্যে কোনটিতে শত ভাগ পাশ করেনি। মাদ্রাসা গুলো থেকে মোট ৭০৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ৩১৪ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৪৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের মাফসার উল উলুম দাখিল মাদ্রাস থেকে ছয় শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ফলাফল খারাপ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভান্ডারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জহিরুল আলম বলেন শিক্ষার্থীরা নিয়মিত লেখাপড়া না করাই এর প্রধান কারন। সাথে সাথে শিক্ষকগণও এ জন্য অনেকাংশে দায়ি। তিনি বলেন অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। শিক্ষা কমিটির সদস্য, ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পশ্চিম রাজপাশা দাখিল মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান টুলু বলেন ফলাফল খারাপ হওয়ার ঘটনা দুঃখ জনক। তবে একটি ঘটনা দিয়ে কাউকে অবমূল্যায়ন না করে সামনের দিনগুলোতে যেন এমনটি না হয় আমরা সে চেষ্টা করবো। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন শতভাগ ফেল করা মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অতীতে যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো এবারো তাই হবে। প্রথমে এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে। অতীতে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংশোধনের নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।