শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
জুলফিকার আমিন সোহেল,বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কহিনুর বেগম নামে এক বিধবা নারীকে বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে তার দেবর মাদ্রাসা শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। ওই নারী বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেন। জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার মিরুখালী গ্রামের মৃত. সৈইজদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ও ছোট শৌলা শাহাদাতিয়া দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক। করোনা পরিস্থিতির কারনে ডাকযোগে অভিযোগ করেছেন বলে কহিনুর বেগম জানান।
অভিযোগ ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, কহিনুর বেগমের স্বামী সেকান্দার আলী হাওলাদার ২০০৫ সালে মারা যাবার পরে সম্মানের ভয়ে ছোট সন্তানদের নিয়ে পিতার বাড়ি পাশর্^বর্তী উপজেলা বামনায় বসবাস করতো। তার ছেলেরা বড় হবার পরে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপরে বর্তমানে তার বড় ছেলে বিদেশ যায় (কাতার প্রবাসি) ও ছোট ছেলে ঢাকায় একটি বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। তিনি বাড়িতে একা বসবাস করে। তার দুই ছেলে বাড়িতে না থাকার কারনে তার স্বামীর বসত বাড়ি,জমি-জমাসহ স্থাবর-অস্থাাবর সম্পত্তি জবর-দখল করার পায়তারা করছে তার দেবর জাহাঙ্গীর আলমও তার স্ত্রী ছেলেরা। তার সাথে খারাপ আচারন, অশ্লীল ভাষায় গালমন্দসহ সামাজিক, পারিপার্শ্বিক এবং মানসিক নির্যাতন, পৈশাচিক আচারন ও অত্যাচার করে আসছে। জাহাঙ্গীর আলম ঘরে বসে প্রসাব করে, যা পাইপ না দিয়ে তার পাকের ঘরের পাশে ফেলে। যে কারনে দুর্গন্ধে রান্না করতে পারেনা। জাহাঙ্গীর আলম একই ঘরের মধ্যে পার্টিসন দিয়ে আলাদা ভাবে বসবাস করে। কিন্তু সে এখন ঘরের মধ্যে খোলা টয়লেট ব্যাবহার করে যার গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যায় এবং প্রসাবের পানি অন্যত্র নিঃষ্কাসনের জন্য পাইপ ব্যবহার করতে বললে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। তাকে মারার জন্য উদ্যৎ হলে প্রানের ভয়ে ঘরে ডুকে দরজা বন্ধ করে দেয় পরে পাকের ঘর কুপিয়ে তছনছ করে দেয়। তিনি প্রাণ ভয়ে স্বামীর বসতবাড়ি ছেড়ে স্থানীয় মিরুখালী বাজারে বাসা ভাড়া করে আশ্রয় নেয়। তিনি স্বামীর ভিটামাটি ফিরে পেতে ও জীবনের নিরাপত্তা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং সহযোগিতা কামনা করেন।
এব্যপারে জাহাঙ্গীর আলম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পারিবারিক দ্বন্দে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ভাবী তার পাকের ঘরের চালা বেশী বাড়িয়ে দেয়ার কারনে আমার বসত ঘরের চৌকাঠ ও খুটি নষ্ট হয়। সে কারনে তার পাকের ঘরের অতিরিক্ত চালা খুলে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় দফাদার (গ্রাম পুলিশ) ছগীর হোসেন জানান, তুচ্ছ পারিবারিক ঘটনায় বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ভাবে সেটা মিমাংসার চেষ্টা চলছে।