শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন
গাজী আবুল কালাম,ইন্দুরকানী(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া পল্লী চিকিৎসক সুনীল চন্দ্র দাস (৬৫) সহ তার পরিবারের তিন সদস্যের করোনা পজিটিভ হয়েছে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক স্যাকমো ও একজন স্টোর কিপার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বরিশাল অনুজীব বিঞ্জান বিভাগের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার রাতে পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাঠানো রিপোর্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কতৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার নতুন করে ৬ জন সহ গত দুই দিনে উপজেলায় ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৯ জন। এর মধ্যে থেকে ১১ জন ইতিমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা: আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ১৬ জুন রাত সাড়ে আটটায় জেলার আম্বিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইন্দুরকানী উপজেলার চাড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক সুনীল চন্দ্র দাস (৬৫)। এর আগে তার মৃত্যুর ৫ দিন আগে তার ছোট ভাই পল্লী চিকিৎসক নির্মল চন্দ্র দাস করোনা উপসর্গ থাকা অবস্থায় রাতে ইন্দুরকানী বাজারের নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিন। বৃহস্পতিবার প্রাপ্ত রিপোর্টে করোনা পজিটিভ হওয়া মৃত্যু সুনীল চন্দ্র দাসের স্ত্রী সহ তার ছোট ভাইয়ের ছেলে শুভ ও মেয়ে তিশা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া একই দিনে পত্তাশী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্যাকমো রবিন্দ্রনাথ দাস (৪৮) সহ দিপক নামে এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হন। আগের দিন ২৪ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার রিয়াজ উদ্দিন ও সেলিম নামে এক যুবকের করোনা শনাক্ত হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম ৩ জন এবং পরে এক দিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয় এ উপজেলায়। তবে তারা চিকিৎসা নিয়ে ইতিমধ্যে সম্পূর্ন সুস্থ্য হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা: আমিনুল ইসলাম জানান, নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে থাকা সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।