রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা খুলে দেওয়া ও মাহমুদুর রহমান এর সাজা বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন কাউখালীতে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা অফিসের সময়সূচী মানছে না বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এমাদুলের পরিবারকে ভাণ্ডারিয়া বিএনপি’র আর্থিক সহায়তা প্রদান ভান্ডারিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণ সমাবেশ কাউখালীতে সমুদ্রগামী মৎস্যজীবীদের মাঝে চাল বিতরণ ভান্ডারিয়ায় পুত্রবধূর দায়ের কোপে শ্বশুরের মৃত্যু গণ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে এ দেশের মাটিতে এনে ফাঁসির দাবী ভাণ্ডারিয়া সংবর্ধনা সভায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভান্ডারিয়ায় বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছে গুলিবিদ্ধ নাঈম কাউখালীতে দেয়ালে দেয়ালে রং তুলির আঁচড়ে নতুন দেশের ছবি ইন্দুরকানীতে সাংবাদিকের মাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট  ভান্ডারিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত কাউখালীতে ছাত্রদলের মিছিল সমাবেশ কাউখালী থানা পুলিশকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করলেন উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ৯ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন ভবিষ্যতে রাজনীতি করা অনেক কষ্টকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পিরোজপুরে নিজের ঘর থেকে কৃষকের হাত পা বাধা মরদেহ উদ্ধার ভান্ডারিয়ায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পুনর্বাসিতদের প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন কাউখালীতে অংশীজনের অংশগ্রহণে মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল এবং সর্বোত্তম ব্যবহার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হারুনকে ডিবি থেকে বদলি ভান্ডারিয়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন
সরাইলে এখন ও ১০ গ্রামের মানুষের ভরসা বাশের সাঁকো

সরাইলে এখন ও ১০ গ্রামের মানুষের ভরসা বাশের সাঁকো

জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতাঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের হাওরবেষ্টিত অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের ১০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা একটি মাত্র বাঁশের সাঁকো। বাঁশ দিয়ে তৈরী এই সাকু দিয়েই ঐ এলাকার মানুষদের চলাফেরা করতে হয়।
সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছেত্রা নদী। আর তার মাঝেই চলাচলের জন্য তৈরী করা হয়েছে এই বাঁশের সাকু।
নদীর উপর পাঁকা সেতু না থাকায় দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই কৃষিনির্ভর এই এলাকার মানুষের। এ কারণে তাঁরা শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছেন। সরকারীভাবে কোন সেতু তৈরী করে না দেওয়ায় এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে বাঁশের দীর্ঘ সাঁকো তৈরি করে নিয়েছেন। এর ওপর দিয়ে এলাকার লোকজন পারাপার হয় বছরের মধ্যে সাত মাস।

উপজেলার রানিদিয়া গ্রামের কাছে রয়েছে এই বাঁশের সাঁকো। সাঁকো তৈরির উদ্যোক্তাদের একজন রানিদিয়া গ্রামের নূর ইসলাম (৬০)। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে তাঁরা কয়েকজন উদ্যোগ নিয়ে এখানে তৈরি করেছিলেন বাঁশের সাঁকো। এরপর থেকে তাঁরা প্রতিবছর নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে কয়েক লাখ টাকার বাঁশ, বেত, রশি ও গুনা দিয়ে সাঁকো তৈরি করে আসছেন। এই সাঁকো পারাপার হতে প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই টাকা করে নেওয়া হয়। জুনের মাঝামাঝিতে পানি বৃদ্ধির আগেই সাঁকো ভেঙে ফেলতে হয়। এই সাঁকো দিয়ে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল পারাপার হলেও রিকশা বা পণ্যবাহী ভ্যান চলাচলের সুযোগ নেই। ফলে কৃষিনির্ভর এ এলাকার মানুষ কৃষিপণ্য ঘাড়ে বা মাথায় করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে থাকেন। প্রতিবছর সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয় প্রায় ১০ লাখ টাকা।

এদিকে গত ২৯ মার্চের ঝড়ে সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরের দিন ৩০ মার্চ সারা দিনভর ১০ গ্রামের মানুষ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে পারেননি। ওই দিন ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করে সাঁকোটি মেরামত করা হয়। এই সাঁকো দিয়ে যেসব গ্রামের লোকজন চলাচল করেন তার মধ্যে রয়েছে অরুয়াইল ইউনিয়নের রানিদিয়া, অরুয়াইল, কাকুরিয়া, বনিয়ারটেক, রাজাপুর এবং পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা, পরমানন্দপুর, ফতেহপুর, ষাটবাড়িয়া ও হরিপুর গ্রাম। এসব গ্রামে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের বসবাস। গ্রামগুলোর মানুষের অর্থনীতির প্রধান কেন্দ্র অরুয়াইল বাজার। অরুয়াইল বাজারে উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে ছেত্রা নদী পার হতে হয়। বাজারটিতে রয়েছে সহস্রাধিক দোকানপাট। অরুয়াইল বাজার ও এর আশপাশেই রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর।

সাঁকোর পর সাত কিলোমিটার মাটির ও আংশিক ইটের রাস্তা রয়েছে। কিন্তু সেতু না থাকায় বছরের কোনো সময়েই ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। তিন মাস নৌকায় আর সাত মাস সবাইকেই হেঁটে বা মোটরসাইকেলে চড়ে যাতায়াত করতে হয়।

অরুয়াইল ইউপির চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এলাকাবাসী এখানে সেতুর দাবি করে আসছে। কিন্তু এখনো সেতু হয়নি। ফলে মুমূর্ষু রোগী, প্রসূতি, নবজাতক ও বৃদ্ধদের নিয়ে বিপাকে পড়েন এলাকাবাসী।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বিডি টাইমস নিউজ কে বলেন, অরুয়াইলে ছেত্রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী নিলুফার ইয়াছমীন বলেন, ওই স্থানে সাঁকোর স্থলে ১০০ মিটার দীর্ঘ একটি পাকা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন হলে ও বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana
error: Content is protected !!