শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মঙ্গলবার রাতে আওয়ামীলীগ ও জেপি মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ শব্দ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মঙ্গলবার রাতে পিরোজপুর-২ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের সমর্থনে মিছিল এবং জামায়াত শিবিরের হরতাল-আবরোধ নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল চলছিল। এসময় জেপি নেতা কর্মীরা সভাশেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এবং ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে আওয়ামীলীগ অফিস ভাংচুর মামলায় জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম উজ্জল, পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আহসানুল কিবরিয়া ফরিদ মল্লিক, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ সরদার, পৌর ছাত্র সমাজের আহবায়ক মাহাবুব শরীফ শুভ ও তারিকুজ্জামান সানিম কে গ্রেফতার করে। উক্ত ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১ টি বিদেশী পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
এদিকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মাহিবুল হোসেন মাহিম জানান, আমরা জাতীয় পার্টি জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার মঞ্জুর মনোনয়ন পত্র দাখিল ও তার দোয়া মোনাজাতের জন্য প্রস্তুতি মূলক সভাশেষে দলীয় অফিস থেকে বের হওয়ার পরে আমাদের নেতা কর্মীকে পুলিশ ঘিরে রাখে। এ সময় আমাদের বেশ কিছু নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। কে বা কারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা আমি জানিনা।
উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লিটন পেশকার বলেন, জাতীয় পার্টির কর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামালা চালায় এবং গুলি বর্ষণ করে।
পিরোজপুর পুলিশ সুপার মো. সফিউর রহমান জানান, জাতীয় পার্টি জেপির চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় দক্ষিণ শিয়াকাঠী মেডিকেল মোড়ে আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুর করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা হয়।