সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৭ অপরাহ্ন
ইন্দুরকানী প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এক মাদরাসা ছাত্রী পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ৩ মাস পর স্বামী ও শশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে। মামলায় স্বামী ও শশুরকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামে ইসাহাক আলীর বাড়ীতে একই গ্রামের দুলাল গাজী ও তার ছেলে হৃদয় গাজী রাজ মিস্ত্রির কাজ করত। এসময় হৃদয় গাজীর সাথে ইসাহাক আলীর মেয়ে মাদরাসা ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের জেরে মেয়ে গিয়ে ছেলের বাড়ীতে উঠলে মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় স্থানীয়রা মেয়েকে উদ্ধার করে অভিবাবকের কাছে ফিরিয়ে দেয়। দ্বিতীয় বার আবার তারা পালিয়ে গিয়ে নোটারীর মাধ্যমে এফিডেবিট করে স্থানীয়ভাবে গ্রাম্য সরার মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। তিন মাস সংসার করার পর মেয়ে পাশের বাড়ীর একটি ছেলের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হলে সংসারে মনোমালিন্য দেখা দেয়। ১৩ মার্চ মেয়ে তার পিতার সাথে পিতা বাড়ী গিয়ে আর ফিরে না এসে ১৬ মার্চ ইন্দুরকানী থানায় তার স্ব^ামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শশুরকে ধর্ষনে সহযোগেী উল্লেখ করে ইন্দুরকানি থানায় মামলা দায়ের করে মেয়েটির মা।
অপরদিকে উক্ত মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। মানববন্ধনে ছেলের মা হাসিনা বেগম জানায়, সোনিয়া (ছদ্দনাম) তার ছেলেকে ভালবেসে বিয়ে করে। সে আমার ছেলের সাথে তিন মাস সংসারও করেছে। সম্প্রতি আমার পুত্র কিছুদিন বাড়ীতে না থাকার সুযোগে পুত্রবধূ পাশের বাড়ীর একটি ছেলের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এই নিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হলে আমার ছেলে এবং আমার স্বামীর নামে ধর্ষন মামলা দায়ের করা হয়। আমি এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন জানান, মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তার বিয়ের বয়স হয়নি। তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে ধর্ষন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হওয়ায় ছেলে ও তার পিতাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।