মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর অভিযুক্ত মো. ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি কুঠার ও একটি দাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের ১নম্বর ওয়ার্ডের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩৫)। অভিযুক্ত মো. ওবায়দুল হক বাদল খান একই এলাকার মৃত আজিজ খানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদল খানের সাথে চাচাতো বোন চম্পা বেগমের সাথে তিন সপ্তাহ আগে আগে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই চম্পাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন বাদল। চম্পাকে বিবাহের আগেও বাদল আরও তিনটি বিবাহ করেন। তার নির্যাতনে আগের তিন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি কুঠার ও একটি দাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ফরিদা বেগমের বড় মেয়ে খাদিজা বেগম জানান, চাচাতো ভাই বাদলের চম্পার বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ ও শারীরিক নির্যাতন। সোমবার রাতে মা ও বোনকে গলা কেটে হত্যা করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই সময় ঘরে থাকা বাদলের দ্বিতীয় স্ত্রীর শিশু ছেলে ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে পাশের বাড়ির লোকজনকে জানালে তারা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
প্রতিবেশী নাছিমা বেগম জানান, ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে এসে ঘটনা আমাকে জানালে ঘরের মধ্যে গিয়ে দুজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ্বলছিল। তখন পানি দিয়ে অগুন নিভিয়ে ফেলি। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেনি।
পিরোজপুর পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের জানান, তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। প্রকৃত আসামী আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি। তাকে অচিরেই আটক করে আইনের আওতায় এনে তার শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।