নড়াইলে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি যুবক ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মুরছালিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

নড়াইলের লোহাগড়ায় এক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রতিবেশি মুরছালিন। স্বজনদের অভিযোগ, গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় সে। এরপর বন্ধু নাসির, এনামুল ও রাসেলকে নিয়ে শিশুটিকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

শিশুটি বাড়ি ফিরে স্বজনদের জানায়। এরপর প্রধান অভিযুক্ত ট্রাক হেল্পার মুরছালিনের সঙ্গে মেয়েটিকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় স্বজনেরা।

মেয়েটির মা বলেন, আমার মেয়ে টিভি দেখতে গিয়েছিলো। তারপর তারা তাকে টেনে নিয়ে যায়। আমি এ অন্যায়ের বিচার চাই।

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আ ফ ম মুশিউর রহমান বলেন, শারীরিক ধর্ষণ সংক্রান্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। দু একদিনের মধ্যেই ফলাফল হাতে পাবো।

শুক্রবার রাতে নির্যাতিতার চাচা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা করলে মুরছালিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে লোহাগড়া থানার পরিদর্শক মো. আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, লিখিত অভিযোগের পর মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়। মূল আসামি মুরছালিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতকে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে, তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।