মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
জহির সিকদার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
২২ হাজার টাকায় ছোট্ট একটি গরু বেচলেন জব্বার মিয়া। টাকা হাতে পেয়ে মুখের লালায় গুনে কোমরে গুঁজে নিলেন।
মুখে মাস্ক না থাকার কথা বললে, একগাল হেসে বলেন, ‘পকেটে আছে।’ এভাবে টাকা গুনলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আছে শুনে হাসলেন। এগিয়ে এসে হাটের তদারকিতে থাকা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকে বার বার করে বলা হচ্ছে।
এমন একাধিক দৃশ্য চোখে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গরুর বাজারে। রাধানগর কলেজপাড়ায় অবস্থিত ওই হাট সপ্তাহের এক দিন প্রতি মঙ্গলবার বসে। চলতি বছর ইজারা না হওয়ায় আপাতত পৌরসভা নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে হাটটি পরিচালনা করছে।
গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ওই হাটে প্রায় দেড় ঘণ্টা থেকে কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সত্যিকার অর্থে গরুর বাজারে স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মানার কোনো উপায় নেই।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে বৃষ্টি নামলে স্বাস্থ্যবিধি মানার সুযোগটা থিতু হয়ে আসে। গোটা পঞ্চাশেক ক্রেতা-বিক্রেতা বেশ কিছু পশু (ছাগল) নিয়ে একটিমাত্র ছাউনির নিচে গিয়ে অবস্থান নেন। অনেকে আবার ছাতা মাথায় খোলা আকাশের নিচেই দাড়িয়ে ছিলেন। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে বৃষ্টিতে ভেজেন।
হাটে আসা পৌর এলাকার লালবাজারের মো. ফেরদৌস বলেন, ‘কেউ ইচ্ছা করলেই বাজারে এসে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারবে না। বাজারটিতে বিক্রেতাদের বেশির ভাগই মাস্ক পরে আসেনি। আর বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম হলেও পশুর দাম অনেক বেশি’। সে জন্য বেচা-কেনা ও ছিল কম।