রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা খুলে দেওয়া ও মাহমুদুর রহমান এর সাজা বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন কাউখালীতে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা অফিসের সময়সূচী মানছে না বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এমাদুলের পরিবারকে ভাণ্ডারিয়া বিএনপি’র আর্থিক সহায়তা প্রদান ভান্ডারিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণ সমাবেশ কাউখালীতে সমুদ্রগামী মৎস্যজীবীদের মাঝে চাল বিতরণ ভান্ডারিয়ায় পুত্রবধূর দায়ের কোপে শ্বশুরের মৃত্যু গণ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে এ দেশের মাটিতে এনে ফাঁসির দাবী ভাণ্ডারিয়া সংবর্ধনা সভায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভান্ডারিয়ায় বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছে গুলিবিদ্ধ নাঈম কাউখালীতে দেয়ালে দেয়ালে রং তুলির আঁচড়ে নতুন দেশের ছবি ইন্দুরকানীতে সাংবাদিকের মাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট  ভান্ডারিয়ায় বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত কাউখালীতে ছাত্রদলের মিছিল সমাবেশ কাউখালী থানা পুলিশকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করলেন উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ৯ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন ভবিষ্যতে রাজনীতি করা অনেক কষ্টকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পিরোজপুরে নিজের ঘর থেকে কৃষকের হাত পা বাধা মরদেহ উদ্ধার ভান্ডারিয়ায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পুনর্বাসিতদের প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন কাউখালীতে অংশীজনের অংশগ্রহণে মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল এবং সর্বোত্তম ব্যবহার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হারুনকে ডিবি থেকে বদলি ভান্ডারিয়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন
প্লিজ আমার মাকে বাঁচান, কিছু হলে এতিম হবো আমরা তিন বোন

প্লিজ আমার মাকে বাঁচান, কিছু হলে এতিম হবো আমরা তিন বোন

প্লিজ আমার মাকে বাঁচান, কিছু হলে এতিম হবো আমরা তিন বোন

অনলাইন ডেস্ক।।
তিন মেয়েকে নিয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলেন পারভীন সুলতানা (৪৫)। কিন্তু সেই স্বপ্ন এত অল্প সময়ে চুরমার হয়ে যাবে তা কোনোভাবেই টের পাননি তিনি।

পারভীন সুলতানার শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় ছটফট করে দিন কাটছে তার। মায়ের এমন যন্ত্রণায় বুক ফেটে কান্না আসছে মেয়ে সানজিদা খন্দকারেরও। কিন্তু মাকে বাঁচাতে যে অর্থের প্রয়োজন সেটির জোগান দেয়ার সক্ষমতা নেই তার পরিবারের।

পারভীন বর্তমানে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সি ব্লকের ষষ্ঠ তলার ৬১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৫১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন।

সুলতানার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চালিয়াকান্দি গ্রামে। তার স্বামী কাইয়ুম খন্দকার এক বছর আগে তাকে ছেড়ে নতুন সংসার পেতেছেন। তখন থেকেই তিন মেয়েকে নিয়ে নতুন করে জীবন সংগ্রাম শুরু করেন তিনি। স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর বাবার বাড়ি ও বোনের বাড়িতেই থাকা শুরু করেন তিনি। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন আগেই। মেজ এবং ছোট মেয়ের পড়ালেখা এখনও শেষ হয়নি। মেজ মেয়ে সানজিদা খন্দকার ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করে সানজিদাই সংসারের হাল ধরেন।

দুই বছর আগে হঠাৎ পেটে ব্যথা অনুভব করেন পারভীন। আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তখন কোনো রোগ ধরা পড়েনি। এরপর মাঝে মধ্যেই পেট ব্যথায় অস্থির হয়ে পড়েন পারভীন। খালার কাছ থেকে টাকা নিয়ে মাস তিনেক আগে পারভীনকে ঢাকায় একটি ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান সানজিদা। এবার পারভীনের পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে বলে জানান চিকিৎকরা।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাস-দেড়েক চিকিৎসা চলে পারভীনের। সেখানে পিত্তথলির পাথর অস্ত্রোপচার করার জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা-নীক্ষার পর চিকিৎকরা তার খাদ্যনালীতে টিউমার রয়েছে বলে জানান। সেই টিউমার থেকেই এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত পারভীন।

গত ২১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পারভীনের খাদ্যনালীর টিউমার অস্ত্রোপচার করা হয়। আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে সহেযাগিতা নিয়েই পারভীনের চিকিৎসা চলছে। কিন্তু এবার ক্যানসারের চিকিৎসার ব্যয় কীভাবে মেটাবেন সেই চিন্তায় সানজিদা। অসুস্থ মাকে নিয়ে হাসপাতালে থাকার কারণে টিউশনিও করতে পারছেন না তিনি।

সানজিদা খন্দকার বলেন, বাবা চলে যাওয়ার পর আমরা আত্মীয়-স্বজনের বাসায়ই থাকছি। মায়ের চিকিৎসার খরচও আত্মীয়-স্বজনরাই দিচ্ছে। টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ চালাই। হাসপাতালে প্রতিদিনই মায়ের বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে। ক্যানসারের চিকিৎসায় কত টাকা লাগবে সেটি আমরা এখনও জানি না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাকে ক্যানসার হাসপাতালে রেফার্ড করা হবে। সেখানে গিয়ে কেমো থেরাপি বা রেডিও থেরাপি দিতে হবে কী-না সেটি চিকিৎসকরা বলবেন। কিন্তু আমাদের তো মায়ের চিকিৎসার খরচ জোগানোর সক্ষমতা নেই।

তিনি বলেন, বাবা আরেকটি সংসার শুরু করার পর মা-ই আমাদের সব। তিনিও এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত। অথচ রোজগারের কোনো পথ নেই। প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়। এমন কোনো আত্মীয় নেই, যাকে বাকি রেখেছি সাহায্য নিতে। এখন কীভাবে চিকিৎসা করাব মায়ের?

সানজিদা বলেন, শুনেছি অনেকেই দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। প্লিজ আপনারা আমার মাকে বাঁচান। তার কিছু হলে এতিম হয়ে যাব আমরা তিন বোন।

পারভীন সুলতানার বিষয়ে আরও জানতে এবং তাকে সহযোগিতা করা যাবে 01716486006 বিকাশ নম্বরে।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana
error: Content is protected !!