মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় নিপু বিনতে কাসেম (সুমা) (২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ বিছানায় মশারির ভেতর থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। আজ মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার পশারীবুনীয়া গ্রামে স্বামীর বসতঘর হতে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূর মুশফিকা নামে সাড়ে তিনবছর বয়সী একটি কন্যা শিশু রয়েছে।
নিহত গৃহবধূ নিপু পাশ^বর্তী বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের কৃষক আবুল কাসেম এর মেয়ে। সে ভাণ্ডারিয়ার পশারীবুনীয়া গ্রামের ভাঙারী ব্যবসায়ি মো. জসীম মিয়া (৩৫) এর স্ত্রী। সে মৃত আব্দুল লতীফ এর ছেলে । এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী জসীম পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্বামী জসীম ওই গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ বিছনায় রেখে পালিয়ে যায়।
নিহত গৃহবধূর মা কলি বেগম জানান, গত ছয় বছর আগে মেয়ে নিপু ও জামাই মো. জসীমের পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সাড়ে তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিলো। কিছুদিন আগে মেয়ে নিপু তার মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। গতকাল সোমবার সকালে জামাই শ^শুর বাড়িতে ফোন করে স্ত্রী নিপুকে বাড়ি আসতে বলে। বিকেলে মেয়েকে বাবার বাড়ি রেখে সে ভাণ্ডারিয়ায় স্বামীর বাড়িতে আসে। এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে জসীম শ^শুরবাড়িতে ফোন করে জানায় নিপু আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের স্বজনরা ছুটে এসে জামাইকে ঘরে না পেয়ে মেয়ে খুঁজতে গিয়ে বিছানায় মশারী খাটানো অবস্থায় মরদেহ পরে থাকতে দেখেন। এরপর স্বজনরা স্থানীয় ইউপি সদস্য পলাশ রায়কে ডেকে আনেন। তিনি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ আজ মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর মা কলি বেগম এর অভিযোগ, তার মেয়েকে জামাই ডেকে এনে হত্যার করে লাশ বিছানায় রেখে পালিয়ে যায়।
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবির মোহাম্মদ হোসেন ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।