বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
ভান্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ
ভান্ডারিয়ায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত নাঈম। তার পায়ে ছররা গুলির জখম। ক্ষতস্থানের যন্ত্রণার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নিয়ে অজানা আতঙ্কও ভর করেছে তার মাঝে। সুস্থ হয়ে শুধু ঘুরে দাঁড়ানোর আকুতি তার।
গত ৫ আগষ্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের ছররা গুলিতে তার ডান পা ঝাজড়া হয়ে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জায়গা না হওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে সাধারণ ছাত্ররা তাকে রাজধানীর সুগন্ধা হাসপাতালে ভর্তি করে এবং নিজেরাই দুই ব্যাগ রক্ত দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে তোলেন। ১শ ৫০টির মত ছররার কনা তার শরীর থেকে বের করা হয়।
দুই দিন পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অর্থাভাবে রাজধানীতে চিকিৎসা করাতে না পেরে তার স্বজনরা তাকে গত ৮ আগষ্ট বাড়ীতে নিয়ে যান। বর্তমানে নাঈম ভান্ডারিয়া উপজেলার লক্ষিপুরা মহল্লার বটতলা সংলগ্ন তার নিজ বাড়ীতে প্রচন্ড যন্ত্রণায় এবং শ্বাষ কষ্ট নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে। বসতে পর্যন্ত পারছেননা ।
আহত নাঈম জানান, অসহায় পরিবারকে সাহায্য করতে পড়া-লেখা বন্ধকরে কয়েক বছর পূর্বে ঢাকায় গিয়ে নির্মান শ্রমিকের কাজ নেন। গত ৫ আগষ্ট বিবেকের তারনায় শত শত ছাত্র হত্যার প্রতিবাদ ও সরকার পতনের আন্দোলনে যুক্ত হন। এসময় যাত্রাবাড়ী এলকায় মিছিলে পুলিশ গুলি বর্ষণ করলে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
তার বড় ভাই ফিরোজ সিকদার জানান, অর্থাভাবে তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎকরাতে পারছেন না। চিকিৎসক বলেছেন, তার শরীরে এখনও অনেক ছররা গুলির গুড়া রয়েছে। সব বের করতে গেলে ওর ডান পা বিকল হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।