কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসের সময়সূচি না মেনে নিজেদের ইচ্ছামত আসা-যাওয়া করে ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জনগণ। সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন হওয়ার কারণে অনেক কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে বারোটার ভিতরে অফিস ত্যাগ করে চলে যান আবার আসেন রবিবার বারোটার পর অথবা সোমবার সকালে। সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন হওয়ার কারণে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশ সুবিধা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর রবিবার কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি দপ্তরের কর্মকর্তারা সকাল ১১ টার ভিতরে অফিসে আসেনি। উপজেলা আইসিটি দপ্তরে সকাল ১১ টায় অফিসে গিয়ে শুনলাম যে উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত অফিসে আসেনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনিশিয়াল মোঃ শাহাবুদ্দিন। টেকনিশিয়ান বলেন, স্যার পথে আছে যে কোন সময় অফিসে আসবে। উপজেলা বিআরডিবি অফিসে সকাল সাড়ে এগারোটায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই অফিসের কোন কর্মকর্তারা অফিসে আসেনি। উক্ত অফিসের অফিস সহায়ক মোহাম্মদ ফারুক খান বলেন, আমি সকাল ৯ টায় অফিস খুলে বসে আছি। উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা বদলি হয়ে গেছে । বর্তমানে জেলার ইন্দুরকানি কর্মকর্তা কাউখালীতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি সপ্তাহে দুই একদিন আসেন। সকাল ১১ টায় উপজেলা বন কার্যালয়ে গেলে কাউকে অফিসে পাওয়া যায়নি। দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ে গেলে অফিস তালাবদ্ধ দেখা যায়। আবার কোন অফিসে গেলে কর্মচারীরা বলেন স্যার ফিল্ডে আছে অথবা জেলার মিটিংয়ে গেছে। এভাবেই কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ অফিসের কর্মকর্তারা অফিসের সময়সূচি না মানার কারণে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী জনগণ কাঙ্খিত সেবা থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছেন। উপজেলার জোলাগাতি গ্রাম থেকে আসা আব্দুস সালাম আক্ষেপ করে বলেন, অফিসিয়াল কাজে এসে অনেক সময় কর্মকর্তাদের না পেয়ে সেবা না পেয়ে আবার বাড়ি ফিরে যাই। আমার বাড়ি থেকে আসতে দুই থেকে তিনশ টাকা খরচ হয়। উল্লেখ্য প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের স্টেশনে থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ কর্মকর্তারা স্টেশনের বাইরে থেকে এসে কাউখালীতে অফিস করে, যার ফলে ইচ্ছা থাকলেও ওইসব কর্মকর্তারা অফিসের সময়সূচি মানতে পারছে না। সংবাদকর্মী মাসুম বিল্লাহ বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি একদিন হলে জনগণ বেশি করে সেবা পাবে।এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক সজল মোল্লা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিসের সময়সূচি মানতে বাধ্য। আমরা জনগণের সেবা দিতে সবসময় প্রস্তুত। যদি কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসের সময়সূচী না মানে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।