শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কাউখালীতে অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি জায়গা উদ্ধার করল উপজেলা প্রশাসন কাউখালীতে নাশকতায় মামলায় জামায়েত সেক্রেটারিসহ ৪জন গ্রেফতার কটুক্তির প্রতিবাদে পিরোজপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তানদের মানববন্ধন কাউখালী গাঁজা সহ এক ঔষধ ব্যবসায়ী গ্রেফতার মারা গেছেন ছারছীনার পীর কাউখালীতে বিআরডিবি অফিসের জনবল সংকট, কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগী জনগণ কাউখালীতে ৪০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক কাউখালীতে কৃষকদের মাঝে ফলের চারা বিতরণ বালু বোঝাই বাল্ক‌হেডের ধাক্কায় ব্রিজ ভে‌ঙে খা‌লে এক বছরেও পুণ:নির্মাণ হয়নি নাজিরপুরে যে কারনে মাকে কুপিয়ে হত্যা করলো ছেলে ৯ বছরের সাজার জন্য ৩৫ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না স্কুল ছাত্রী অপহরণের ৩৩ দিন হলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি কাউখালীতে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছেন হিন্দু শিক্ষক পিরোজপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে বিশেষ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন কাউখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে দেখা গেল সাপ কাউখালী উপজেলা অস্থায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই চিকিৎসক নেই বেড, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে কাউখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে হাইজিন কিট বিতরন পিরোজপুরে দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অথের্র চেক বিতরণ কাউখালীতে জমি জমা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪, গ্রেপ্তার ৪ নেছারাবাদে রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা প্রদান
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তালা!

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তালা!

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তালা!

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তালা দিয়ে মা ও দুই ভাইকে ১১ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তালাবদ্ধ থাকার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য মুত্তালিব হোসাইন ওই তালা খুলে দেন। ঘটনাটি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, করটিয়ার মেসার্স আনোয়ার টেক্সটাইলের স্বত্বাধিকারী মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে শিপন আল মামুন সৌরভের সাথে একই এলাকার শরবেশ আলীর মেয়ে স্মৃতি আক্তারের দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্ব ক্রমান্বয়ে প্রেমে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে শিপন আল মামুন সৌরভ জানতে পারেন তার প্রেমিকা স্মৃতি আক্তারের সাথে ঢাকার মিরপুরের সুজন মিয়া সহ আরো কয়েক জনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ ঘটনা জানার পর শিপন আল মামুন সৌরভ নিজেকে ওই সম্পর্ক থেকে সরিয়ে নেন এবং স্মৃতি আক্তারের সাথে সম্পর্ক চ্ছেদ করেন।

সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর গত ১৪ নভেম্বর রাতে স্মৃতি আক্তার তার প্রতিবেশি ভাবী ও ফুফাত বোনকে নিয়ে শিপনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারীর মধ্যস্থতায় মেয়ের বাবা শরবেশ আলী এসে স্মৃতি আক্তারকে নিয়ে যান। এ বিষয়ে গত ২৩ ও ৩০ নভেম্বর পৃথক দুটি গ্রাম্য সালিশ হয়। সালিশে কোন সমাধান না হওয়ায় গত ২৩ ডিসেম্বর করটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদের প্যাডে উভয় পক্ষকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে প্রতিবেদন দেন। এ বিষয়ে শিপনের বাবা মো. আনোয়ার হোসেন টাঙ্গাইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় মো. জাহাঙ্গীর, মো. রফিকুল ইসলাম, সবু মিয়া জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিবেদনে ক্ষুব্দ হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারীর ভাতিজা ইব্রাহিম আনছারী, হেলাল খান, সাইদুর, আরজু, হাসান, শাহাদাত, মেয়ের ফুফাত ভাই সজিব সহ ১৫-২০জন ব্যক্তি লাঠি-দা ও ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে বাড়িতে গিয়ে মো. আনোয়ার হোসেনকে খুঁজতে থাকে। না পেয়ে তার দো’তলা বাড়ির কলাপসিবল গেটে বাইরে থেকে দুইটি তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। এতে বাড়ির ভেতর মো. আনোয়ার হোসেনর স্ত্রী ও দুই শিশু আটকা পড়ে যায়। পরে দীর্ঘ ১১ঘণ্টা পর স্থানীয় ইউপি সদস্য মুত্তালিব হোসাইন তালা খুলে দেন।

শিপন আল মামুন সৌরভ জানান, স্মৃতি আক্তারের সাথে তার ফেসবুকে পরিচয় হয়। মাঝে মাঝে মোবাইলে কথা বলতেন-চ্যাট করতেন। একটা ভালো সম্পর্ক সবেমাত্র প্রেমে রূপ নিচ্ছিল। এরইমধ্যে স্মৃতি আক্তারের একাধিক প্রেমের বিষয়ে জানতে পারেন। তাই সম্পর্ক চ্ছেদ করেছেন। তিনি ওই মেয়েকে কখনোই বিয়ে করবেন না।

প্রেমিকা স্মৃতি আক্তার জানান, বিষয়টি তাদের একান্তই পারিবারিক। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারীর সাথে পরামর্শ করে যা বলার তিনি বলবেন।

মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। তার ছেলে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে চাচ্ছেনা। মেয়ের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় তৃতীয়পক্ষের লোকজন তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।

করটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু জানান, বাড়িতে তালা দিয়ে আটকে রাখার বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক- এটা কোন সমাধানের পথ নয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, মেয়ের সাথে ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাড়িতে মেয়ে পক্ষের কেউ তালা দেয়নি। লেনদেনের কারণে পাওনাদাররা তালা দিয়ে থাকতে পারে। তবে তালা দেয়াটা সঠিক হয়নি।

সূত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana
error: Content is protected !!