শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
বরিশালবানারীপাড়ায় প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়ক ও জনপথের (সওজ) শিয়ালকাঠি-উদয়কাঠি-বিশারকান্দি সড়ক নির্মাণ কাজ নিম্নমানের হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেওয়ার সংবাদ বুধবার বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পরে সওজ কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান ঘটনাস্থলে এসে ওই সড়ক নির্মাণ কাজ পরিদর্শণ করে ঠিকাদারকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। তিনি এসময় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে তাদের দরপত্র অনুযায়ী উন্নত ও টেকসই নির্মাণ কাজের আশ্বাস দেন। এসময় ওই নির্মাণ কাজের ঠিকাদার উজ্জ্বল,সওজের কার্য সহকারী জাহাঙ্গির হোসেন,বাইশারী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক জিয়াউদ্দিন জুয়েল ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান তিনি ওই সড়কের নির্মাণ কাজ নিজে মনিটরিংয়ের পাশপাশি সার্বক্ষনিক দেখভালের জন্য সহকারী প্রকৌশলী আল-আমিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কাজের মান নিরূপণে পরীক্ষামূলকভাবে ঠিকাদারকে সড়কের কিছু অংশে কার্পেটিং করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী রোববার তিনি পুনরায় এসে কাজের মান দেখে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলেও জানান।
প্রসঙ্গত, বানারীপাড়া উপজেলার সন্ধ্যা নদীর পশ্চিমপাড়ে বাইশারী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠি থেকে উদয়কাঠি ইউনিয়ন হয়ে বিশারকান্দি ইউনিয়নের চৌমোহনা বাজার পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রায় ৫৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ কাজ দু’ভাগে চলমাণ রয়েছে। শিয়ালকাঠি থেকে উদয়কাঠির বখ্শ বাড়ি পর্যন্ত অংশের ২২ কোটি টাকার কাজ পেয়েছে মেসার্স অহিদ কন্সট্রাকশন। ওই স্থান থেকে বিশারকান্দি চৌমোহনা বাজার পর্যন্ত অপর অংশের প্রায় ৩৪ কোটি টাকার কাজ পায় মেসার্স এমএম বিল্ডার্স। শুরু থেকেই কচ্ছপ গতিতে চলমান এ নির্মাণ কাজ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ করে আসছিলেন এলাকাবাসী।
এসময় বিষয়টি তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলমকে মুঠোফোনে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক সড়ক ও জনপথের বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ খানকে অবহিত করে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে এসময় উপ-সহকারী প্রকৌশলী জুয়েল হোসেন সটকে পড়েন এবং কার্য সহকারী জাহাঙ্গির হোসেন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ইসতিয়াক আহম্মেদ মিঠু তোপের মুখে পড়েন।