শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কাউখালীতে অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি জায়গা উদ্ধার করল উপজেলা প্রশাসন কাউখালীতে নাশকতায় মামলায় জামায়েত সেক্রেটারিসহ ৪জন গ্রেফতার কটুক্তির প্রতিবাদে পিরোজপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তানদের মানববন্ধন কাউখালী গাঁজা সহ এক ঔষধ ব্যবসায়ী গ্রেফতার মারা গেছেন ছারছীনার পীর কাউখালীতে বিআরডিবি অফিসের জনবল সংকট, কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগী জনগণ কাউখালীতে ৪০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক কাউখালীতে কৃষকদের মাঝে ফলের চারা বিতরণ বালু বোঝাই বাল্ক‌হেডের ধাক্কায় ব্রিজ ভে‌ঙে খা‌লে এক বছরেও পুণ:নির্মাণ হয়নি নাজিরপুরে যে কারনে মাকে কুপিয়ে হত্যা করলো ছেলে ৯ বছরের সাজার জন্য ৩৫ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না স্কুল ছাত্রী অপহরণের ৩৩ দিন হলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি কাউখালীতে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছেন হিন্দু শিক্ষক পিরোজপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে বিশেষ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন কাউখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে দেখা গেল সাপ কাউখালী উপজেলা অস্থায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই চিকিৎসক নেই বেড, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে কাউখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে হাইজিন কিট বিতরন পিরোজপুরে দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অথের্র চেক বিতরণ কাউখালীতে জমি জমা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪, গ্রেপ্তার ৪ নেছারাবাদে রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা প্রদান
ওড়না-টুপি ‘নিষিদ্ধ’, যা বললেন সেই অধ্যক্ষ

ওড়না-টুপি ‘নিষিদ্ধ’, যা বললেন সেই অধ্যক্ষ

ভর্তিতে অনিয়ম, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা কারণে আলোচনায় থাকা মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজকে নিয়ে এবার নতুন ইস্যুতে সমালোচনা হচ্ছে। স্কুল পর্যায়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের ড্রেস কোড পরিবর্তনের প্রতিবাদে এবার আন্দোলন করছেন প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা। হঠাৎ করে চলতি বছরের শুরু থেকে ছাত্রীদের ওড়না এবং টুপি পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে শিক্ষার্থীরাও।

তবে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলছেন, ‘শিক্ষার্থীদের পোশাকের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সবাই ওড়না পরেও না। তাই ওড়নার পরিবর্তে হিজাব রাখা হয়েছে।’ এ ছাড়া নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বেশ কিছু যুক্তিও দিয়েছেন আইডিয়াল প্রধান।

গত আগস্টে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন এই বিধান কার্যকর করা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। এর আগে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের অন্যান্য পোশাকের সঙ্গে স্কার্ফের পরিবর্তে ওড়না বাধ্যতামূলক ছিল। নতুন ড্রেস কোডে হিজাবকেও ঐচ্ছিক করা হয়েছে ছাত্রীদের জন্য।

অন্যদিকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য আগে ক্রস ওড়না বাধ্যতামূলক থাকলেও নতুন সিদ্ধান্তে ছয় ইঞ্চির ক্রস বেল্ট ওড়না ও মাথায় হিজাব ঐচ্ছিক করা হয়েছে। অপরদিকে ছাত্রদের জন্য টুপিকে ঐচ্ছিক করে সাদা শার্ট ও নেভি ব্লু প্যান্ট এবং সাদা জুতা ও মোজা পরার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মেয়েদের জন্য ওড়না এবং ছেলেদের জন্য টুপি পড়ার বিধান বাতিল করে দেয়ায় এই ক্ষোভের তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। ইতিমধ্যে তারা কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটামও দিয়েছেন। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এর সমাধান না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

নতুন এই সিদ্ধান্ত আসার পর থেকে এর প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করছেন মতিঝিল ও বনশ্রী শাখার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির বনশ্রী ক্যাম্পাসের সামনে কয়েকশ অভিভাবকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিল ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ হয়েছে।

তোফাজ্জল হোসেন নামের এক অভিভাবক জানান, ওড়না, স্কার্ফ ও ছেলেদের টুপি নিয়ে যেহেতু অভিভাবকদের কোনো অভিযোগ নেই, সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কেন এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিল। এটা যদি করতেই হতো তাহলে অভিভাবকদের সঙ্গে বসতে পারত। পরামর্শ নিতে পারত, কিন্তু কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠান এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে ওড়না, স্কার্ফ ও ছেলেদের টুপি ব্যবহারের যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা তুলে নেয়া হোক।

অন্য অভিভাবকরা বলছেন, আগে মেয়েদের ড্রেসকোডে মাথায় স্কার্ফ বা ওড়না ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও নতুন প্রণীত ড্রেসকোডে সেখানে স্কার্ফ বা ওড়না ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর ছেলেদের মাথায় টুপি ব্যবহারকেও অঘোষিতভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, শিক্ষকদের মধ্যেও আগে যারা পাঞ্জাবি পড়ে স্কুলে আসতেন তাদেরকে এখন পাঞ্জাবি পড়তে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কেউ পাঞ্জাবি পরলেও পাঞ্জাবির উপরে আলাদাভাবে কটি পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন, ছাত্রীদের ড্রেসের মধ্যে সৌন্দর্য বাড়াতে বাড়তি ওড়না নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গভর্নিং বডি। প্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীসহ হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মের ছাত্রীরা পড়ে। তাছাড়া সবাই ওড়না পরে না। তাই ওড়নার পরিবর্তে হিজাব রাখা হয়েছে। কেউ চাইলে তা পরবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হিজাবেও শরীর ঢাকা যায়, এ জন্য ওড়না জরুরি না। তারপরও কেউ চাইলে পরবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামানের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। সরকারের এই অতিরিক্ত সচিব বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

অধ্যক্ষের যত যুক্তি

নতুন ড্রেস কোডের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহান আরা বলেন, ‘ড্রেস কোড পরিবর্তন হয়নি। আগে মেয়েরা আলগা ওড়না পরলেও সেটা গলায় ঝুঁলিয়ে রাখত। তারা ঠিকমতো ধোয় না, ইস্ত্রি করে না। আর মাথায়ও পরে না। যে কারণে সবাইকে যাতে একটু ফিটফাট দেখা যায় সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত। আর হিজাব পরলে তো তাদের শরীর ঢেকে যায়। সমস্যা কোথায়?’

ওড়না কেউ পরতে চাইলে পরতে পারবে- তিনি এমন দাবি করলেও অভিভাবকরা বলছেন, নতুন ড্রেস কোডের বাইরে ওড়না পরে ক্লাসে গেলে অনেককে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তবে অধ্যক্ষ বলছেন, এটা মিথ্যা কথা। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা অপপ্রচার।

ছেলেদের টুপি ঐচ্ছিক করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মুসলমানদের বাইরেও প্রতিষ্ঠানে অন্য ধর্মালম্বী ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখা করে। তারা তো টুপি পরে না। তাই একসঙ্গে দেখতেও অন্যরকম লাগে। এ কারণে এমন সিদ্ধান্ত। তবে কেউ পরতে চাইলে সে পরতে পারবে, বাধা নেই।

এ ঘটনার প্রতিবাদ নিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘যারা এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তারাও তো জানেন প্রতিবাদ হচ্ছে। তারপরও আমাদের আগামী সপ্তাহে মিটিং আছে, সেখানে এ নিয়ে কথা বলব।’

 

 

 

সুত্র বাংলাদেশ জার্নাল

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana
error: Content is protected !!