শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
মা মারা যায় আরও চার বছর আগেই। তাই প্রায় বাবার সাথে রান্না করতে যেতে হত এই ছয় বছরের শিশুটির। বাবার সাথে রান্না করতে গিয়ে । চুলার আগুনের মধ্যে পায়ের ভিজা মোজা শুকাতে গেলে। এক পর্যায়ে আগুনের তাপে মোজায় আগুন ধরে যায়। আর সেই আগুন নিভাতে গেলে , আগুন উপর পড়ে গিয়ে ডান পায়ের ৯০% অংশ পুড়ে যায়। গেল ১৫ দিন ধরে চিকিৎসার অভাবে মাটিতে শুয়ে আছে। পুড়ে যাওয়া ক্ষত নিয়ে তীব্র ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন শিশুটি।
আনুমানিক গত ১৫ দিন আগে এমন ঘটনা ঘটেছে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী গ্রামের আব্দুল আউয়াল এর মেয়ে ঝুমা (৬) আক্তারের।
বাবা অতিদরিদ্র থাকার কারণে কোনো উন্নত চিকিৎসা করতে পারেনি। ঝুমার পা পুড়ে যাওয়ার কিছুদিন পর শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে রোগী (ঝুমা) গুরুতর অবস্থা দেখার পর ভর্তি করায়নি । উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে যেতে বলেন।
এই ব্যাপারে ঝুমার বড় ভাই বলেন, ঢাকা মেডিকেলে কিভাবে ভর্তি করব। সেখানে যাওয়ার মত ভাড়াও আমাদের কাছে নেই। আমি নিজেও শারীরিক প্রতিবন্ধী। কাজ-কাম করতে পারি না। কেউ যদি আমাদের একটু সাহায্য করত তাহলে ঝুমাকে বাঁচানোর যেত। বাবা সারাদিন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সাহায্য-সহযোগিতা জন্য। আমরা তিন বেলা খাইতেই পারি না। ঝুমাকে তিন বেলা ভাত দিতে পারি না । চিকিৎসা করব কেমনে।
প্রতিবেশীরা জানায়, অসহায়, ভূমিহীন মানুষ তারা। সরকারি খাস জমিতে থাকে। বাসস্থান নেই। অনেক সময় আমরা সাহায্য সহযোগিতা করলে চলতে পারে। আমরা কিছু টাকা তুলছি আর কিছু টাকা হইলে ভালো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারবে।
ঝুমার বাবা আওয়াল সবাই কাছে সাহায্যের আকুতি করে বলেন, আপনারা আমার মেয়েটাকে বাঁচান। আমার চোখের সামনে তার ছটফট করতে দেখে মনে হয় আমার মত অসহায় বাবা আর কেউ নেই। টাকা অভাবে আমার মেয়ে মারাও যেতে পারে। আপনারা যদি পারেন তাহলে একটু সাহায্য সহযোগিতা করেন। তাহলে হয়তো আমার মেয়ে সুস্থ হলে যেতে পারে । এজন্য সবার কাছে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাচ্ছি। যে যতটুকু পারেন কিছুটা সাহায্য সহযোগিতা করেন।
সাহায্য পাঠানো ঠিকানা : বিকাশ 01982 554751
কেউ যদি সাহায্য করতে চাই। তাহলে আগে ফোনে যোগাযোগ করে করবেন। ফোনটা ঝুমার ফুফু মারুফা আক্তার ধরবে।
আর কেউ ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে যোগাযোগ : 01933460925 (শেখ ফরিদ)
সুত্র যোগাযোগ.কম dainikjogajog.com