শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কাউখালীতে অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি জায়গা উদ্ধার করল উপজেলা প্রশাসন কাউখালীতে নাশকতায় মামলায় জামায়েত সেক্রেটারিসহ ৪জন গ্রেফতার কটুক্তির প্রতিবাদে পিরোজপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তানদের মানববন্ধন কাউখালী গাঁজা সহ এক ঔষধ ব্যবসায়ী গ্রেফতার মারা গেছেন ছারছীনার পীর কাউখালীতে বিআরডিবি অফিসের জনবল সংকট, কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগী জনগণ কাউখালীতে ৪০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক কাউখালীতে কৃষকদের মাঝে ফলের চারা বিতরণ বালু বোঝাই বাল্ক‌হেডের ধাক্কায় ব্রিজ ভে‌ঙে খা‌লে এক বছরেও পুণ:নির্মাণ হয়নি নাজিরপুরে যে কারনে মাকে কুপিয়ে হত্যা করলো ছেলে ৯ বছরের সাজার জন্য ৩৫ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না স্কুল ছাত্রী অপহরণের ৩৩ দিন হলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি কাউখালীতে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছেন হিন্দু শিক্ষক পিরোজপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে বিশেষ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন কাউখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে দেখা গেল সাপ কাউখালী উপজেলা অস্থায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই চিকিৎসক নেই বেড, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে কাউখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে হাইজিন কিট বিতরন পিরোজপুরে দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অথের্র চেক বিতরণ কাউখালীতে জমি জমা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪, গ্রেপ্তার ৪ নেছারাবাদে রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা প্রদান
নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ অসহায়

নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ অসহায়

চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, মসলা ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ এখন রীতিমত অসহায় হয়ে পড়েছেন। ভোক্তাদের প্রতিবাদ ও অভিযোগ জানানোর যেন কোনো জায়গা নেই। বাজার নজরদারিতে সরকারি সংস্থাগুলোর কোনো তৎপরতাও নেই। সুযোগ বুঝে খুচরা দোকানি, পাইকারি ব্যবসায়ী, মজুতদাররা ইচ্ছেমত পণ্যের দাম নিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এসব অভিযোগ ভুক্তভোগী ক্রেতাদের। গত দু সপ্তাহের ব্যবধানে যশোরের বাজারে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ৪ টাকা। মসুর ডালে বেড়েছে ১০ টাকা। এক মাসে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজে বেড়েছে ৫০ টাকা। এক মাসে এলাচের কেজিতে বেড়েছে আড়াই হাজার টাকা।

রান্নার এলপি গ্যাস সিলিন্ডারে দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। সরেজমিনে যশোরের বড়বাজারের পুরোটা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটা দোকানে থরে থরে চালের বস্তা সাজানো। কোথাও কোনো ঘাটতি নেই। এরপরও চালের দাম বেড়েই চলেছে। কৃষকের ধান হাটে বিক্রি শেষ হওয়ার পর এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ফড়িয়া ও মজুতদারদের ধান। এসব ব্যবসায়ী ধানের ভরা মৌসুমে হাট-বাজার থেকে কৃষককে মণপ্রতি ৩০০/৪০০ টাকা তার উৎপাদন খরচের থেকে কম দামে কিনে মজুত করে রেখেছেন। বর্তমানে কৃষকের ধান মজুতদার ও মিল মালিকদের হাতে। ফড়িয়া ও মজুতদারদের ধান হাট থেকে কিনতে গেলে স্বাভাবিকভাবে বেশি দাম দিতে হবে। কারণ তাদের সিন্ডিকেট আছে। তারা ভাব বুঝে একজোট হয়ে যায়। এই অজুহাতে বাজারে দিনদিন চালের দাম বাড়ছে। আর চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন মিল মালিক ও আড়তদাররা। যশোরের বড়বাজারে গতকাল শুক্রবার মোটা গুটিস্বর্ণা চাল খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৮/৩০ টাকা। ১৫/২০ দিন আগেও গুটিস্বর্ণা চাল বিক্রি হয়েছিল ২৫/২৬ টাকায়। বিআর-১০ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৫/৩৬ টাকা, এর আগে বিক্রি হয়েছে ৩০/৩২ টাকা।

বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০/৪২ টাকা, আগে বিক্রি হয়েছে ৩৬/৩৮ টাকা। মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা, আগে বিক্রি হয়েছে ৪২/৪৪ টাকা। বাংলামতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা, ১৫/২০ দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৪৮/৫০ টাকা। আমন মৌসুমে চালের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল বিশ^াস জানান, হাট-বাজারে ধান খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। যাও পাওয়া যাচ্ছে তার দাম বেশি। মোটা ধানের ফলন এবার কম হয়েছে। এ কারণে চালের দাম বেশি। এদিকে চালের পাশাপাশি কোনো কারণ ছাড়াই ডালের দাম বেড়েছে। সাধারণ মানুষ সাধারণত তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার আমদানি করা মোটা ডাল খেয়ে থাকেন। গতকাল বাজারে দেখা যায় আমদানি করা এই মোটা দানার ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫ টাকা। অথচ দু সপ্তাহ আগেও ৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯৫ টাকা। এ মাসের প্রথম দিকে বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৮৭ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা।গত সপ্তাহেও দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বড় বাজারে ৯০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছিল।

কেজিতে আবারও ৫০ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা। মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫/৮০ টাকা আর চায়না পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫/৭০ টাকা। এইচ এম এম রোডের কাঁচামালের আড়ত ‘নিতাই গৌর ভান্ডার’ এর অন্যতম স্বত্বাধিকারী নিতাই চন্দ্র জানান, বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি ও দাম বেশি থাকায় চাষিরা পুষ্ট হওয়ার আগেই মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করেছেন। এখন কমে এসেছে, এ জন্য আবারও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। বাজারে যে পণ্যের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সেটা হলো এলাচ। ভালোমানের এলাচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। মাসখানেক আগেও ৪ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। অর্থাৎ খুচরা দোকানিরা প্রতি ১০ গ্রাম এলাচ বিক্রি করছেন ৫০ টাকা, এর আগে বিক্রি করেছিলেন ২৫ টাকা। দাম বাড়ার বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারেন না। তবে বাজারে গুয়াতেমালা থেকে আমদানি করা এলাচের যথেষ্ট চাহিদা আছে বলে বিক্রেতারা জানান।রান্নার কাজে নিত্যব্যবহার্য এলপি গ্যাসের দামও হঠাৎ করে চলতি মাসের প্রথম থেকেই বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সিলিন্ডার প্রতি ১০০ টাকা বেশি দামে দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। ১২ কেজি ওজনের একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ টাকায়। এ মাসের প্রথমে যার দাম ছিল ৯৫০ টাকা। এখানেও গ্যাস কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির দোহাই দিচ্ছেন। একজন ক্রেতা স্কুল শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যখন-তখন ইচ্ছেমত ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমাদের সংসারের চাহিদা মেটানোর জন্য বাড়তি দামে পণ্যসামগ্রী কিনতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা প্রতিবাদ করলেও এর কোনো প্রতিকার নেই। বাজারে কোনো জিনিসের ঘাটতি দেখা না গেলেও যথারীতি পণ্যের বাড়তি দাম নেয়া হচ্ছে। বাজার তদারকি সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করলে এভাবে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্য ও নিত্যব্যবহার্য জিনিসের দাম বাড়াতে পারতো না।

 

সুত্র দৈনিক আমাদের কন্ঠ

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana
error: Content is protected !!