শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
বরগুনা সদর উপজেলার ৪ নম্বর কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের গুদিঘাটা এলাকার মো. শাহীনের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী মোসা: আমেনা ও তার স্ত্রী মোসা: সাজেদাকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মোসা: সাজেদাকে উন্নত চিকিতসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্যদিকে আমেনার পরীক্ষা থাকায় তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামী মো. শাহীন ও সাজেদার জমি জোর পূর্বক দখল করতে যান তার প্রতিপক্ষেও সেলিম মোল্লা, রাতুল, রিয়াজ, কালাম, করিম ও রহিম। এসময় সাজেদা তাদেরকে বাঁধা দিলে প্রথমে সাজেদাকে তারা মারধর শুরু করেন। মারধরের এক পর্যায় তার মেয়ে আমেনা তার মাকে বাঁচাতে আসলে তারা আমেনাকেও মারধর করেন। ঘটনার সময় আমেনার বাবা শাহীনকে ঘরে বন্দী করে রাখায় সে মারধর থেকে বেঁচে গেছেন।
ভুক্তভোগী আমেনার বাবা শাহীন সাংবাদিকদের জানান, আমি একজন সামান্য রেন্ট-এ মোটরসাইকেল চালক। আমার জমিতে জোর করে দখল নিতে চেয়েছিলো সেলিম মোল্লা গং। তারা আগেও অন্যের জমি দখল করতে গিয়ে চাঁদাবাজী মামলায় আসামী হয়েছেন তারা। এখনো চাঁদাবাজী মামলাটি চলমান রয়েছে। সেই আসামীরাই এখন আবার আমার পরিবারের উপরে হানা দিয়েছে। তাদের হামলায় আহত হয়ে আমার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে আমেনা বরগুনায় এবং আমার স্ত্রী সাজেদা বরিশালে চিকিৎসারত। আমি প্রশাসনের কাছে এ হামলার সঠিক বিচার চাই।
হামলার সময় সেখানে উপস্থিত থাকা ইউনুছ মোল্লা জানান, সেলিম মোল্লা গং এলাকার সবচেয়ে প্রভাবশালী। তাদের সকল ধরনের ক্ষমতা রয়েছে। শাহীন গরীব হওয়ায় তাদের সাথে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী। এ ঘটনার সাথে জড়িত সেলিম গংদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ঘটনার পর হাসপাতালে গিয়ে তথ্য এনেছেন পুলিশ, আমাদের কাছে ঘটনার সকল তথ্য রয়েছে। ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।