স্টাফ রিপোর্টার : সকল নিয়মনীতি মেনে সংবাদ প্রকাশের পর সংবাদকর্মীদের উপর হুমকি, বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত হানা হয়েছে। কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান হয়ে তিনি নাগরিকদের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার হরণের পর স্বপদে বহাল থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় শিক্ষা অফিসের সামনে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ ২৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে সাংবাদিক গণসমাবেশে জাতীয় প্রেসক্লাব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক সংহতি জানিয়ে বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যে সংবাদগুলো প্রকাশিত হয়েছে তা আমি দেখেছি, যা তথ্য নির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠু। এতোসব তথ্য দিয়ে সংবাদের প্রকাশের পরও কিভাবে রংপুরের এক শ্রেণীর মানুষ অধ্যক্ষকে বাচানোর জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন, ভাবতে আজ অবাক লাগে। রংপুরের সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের আহবায়ক, বিটিভি প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি নগরীর কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার শিক্ষা বাণিজ্য ও অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে একাত্তর টেলিভিশন, ডিবিসি নিউজ ও সময় সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, বাংলাদেশ প্রতিদিন, দৈনিক করতোয়াসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হয়। সংবাদগুলো ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনুযায়ী প্রকাশিত হয়। তাদের বক্তব্য প্রতিটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। এছাড়াও অধ্যক্ষ নিজেও বক্তব্য দিয়েছেন। তথ্য নির্ভর সংবাদ প্রকাশের পর থেকে অন্যায়ভাবে ওই অধ্যক্ষ ও তার লোকজন সাংবাদিকদের নানাভাবে হেনস্তা ও অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছেন। এ কারণে আজ সকল নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে রংপুরে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুরের কোষাধ্যক্ষ এস.এম ইকবাল সুমনের সঞ্চালনায় সুচনা বক্তব্যে সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের সদস্য সচিব ও সময় টেলিভিশনের রংপুর ব্যুরো প্রধান রতন সরকার বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হলেই যারা হুমকি দিয়ে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার দুঃসাহস দেখায় তাদের বিরদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার সময় এসেছে। এর পরেও আর কোন সাংবাদিককে অন্যায়ভাবে হুমকি-ধামকি দিলে তাদের রুখে দাঁড়ানোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে রতন বলেন, দিনরাত পরিশ্রম করে যারা ঝুঁকি নিয়ে তথ্যসেবা দেয়, সেই সাংবাদিকরা আর অন্যায়ের কাছে মাথানত করবে না। গণসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক ও রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুরের সভাপতি আব্দুল হালিম আনছারী, নতুন স্বপ্নের সম্পাদক আব্দুল আজিজ চৌধুরী সাঈদ, রংপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও একুশে টেলিভিশনের প্রতিনিধি লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের আহবায়ক ও এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার একেএম মইনুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক নুরুজ্জামান, দৈনিক প্রথম খবর পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম লাল, ডিবিসি নিউজের রংপুর ব্যুরো প্রধান নাজমুল ইসলাম নিশাত, চ্যানেল-২৪’র বিভাগীয় প্রধান ফকলুল শাহীন, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম সম্রাট, তাজহাট মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের আহবায়ক এসএম জাকির হোসেন, বাংলাদেশ তৃণমুল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম, সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন মখদূমী, তৃণমুল সাংবাদিক সংস্থার মোসাদ্দেক হোসেন রাঙ্গা,বাংলা নিউজটোয়েন্টিফোর.কমের প্রতিনিধি মাহফুজুল ইসলাম বকুল, সংবাদকর্মী বিপ্লব রহমান, শাহরিয়ার মিম, নির্যাতিত শিক্ষার্থীর মধ্যে অনুপম, আবিদ ও কলিম। গণসমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন, তারাগঞ্জ রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি বিপ্লব হোসেন অপু, গঙ্গাচড়া সাংবাদিক সমাজের জাকিরুল ইসলাম মন্টু, পীরগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি খোরশেদ আলম, পাগলাপীর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম বদরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম আপন প্রমুখ। সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ আয়োজিত গণসমাবেশে সংবাদকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের দুই শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।