বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বড়নগাতী গ্রামে মেসার্স রুমা ব্রিকসে (ইটভাটা) পরকীয়া প্রেমিক আবু তাহেরকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ জনকে আটক করেছে। নিহত তাহের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের চকবারা গ্রামের মৃত মোশারেফ হোসেনের ছেলে। শনিবার সকালে বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে দুপুরে বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইটভাটার শ্রমিকরা জানান, রুমা ব্রিকসের শ্রমিক আবু তাহেরের সঙ্গে একই এলাকার ইটভাটার শ্রমিক নজরুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় কর্মস্থলের খুপরী ঘরে নজরুল তার স্ত্রী রোজিনা ও তাহেরকে অপত্তিকর অবস্থায় দেখে ডাক চিৎকার দেন এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবু তাহেরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নজরুলের ডাকচিৎকার শুনে অন্য শ্রমিকরা সেখানে ছুটে গিয়ে তারাও আবু তাহেরকে বেধরক মারধর করেন। মারধরে আবু তাহের অচেতন হয়ে পড়লে রুমা ব্রিক্স’র (ইটভাটার) মালিক রুস্তুম মোল্লা নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রুস্তুম মোল্লা বলেন, আবু তাহেরকে বাঁচাতে নেছারাবাদ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল বলেন, পরকিয়া প্রেমের জের ধরে মেসার্স রুমা ব্রিক্স’র (ইটভাটার) শ্রমিক আবু তাহের হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যারা জড়িত তাদেকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বাকীদের ছেড়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রসঙ্গত ওই ইটভাটায় সাতক্ষীরার ১৫ শ্রমিক কর্মরত ছিল। এ ঘটনার পর ৭ শ্রমিক পালিয়ে যায়।