বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
সৌদি আরবে নতুন করে বাংলাদেশ বিমানের ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি না মেলায় জটিলতা কাটছে না প্রবাসীদের। এখনও বিশেষ অনুমতিতেই আটকে আছে বাংলাদেশ বিমানের সৌদি ফ্লাইট। দেড়শ’ টিকিটের বিপরীতে শনিবার সকালে মতিঝিলে বিমানের কার্যালয়ের সামনে ভিড় করেন কয়েক হাজার মানুষ।
একই অবস্থা সাউদিয়া এয়ারলাইন্সেরও। টোকেন দিতেও তিন দফা তারিখ পরিবর্তন করেছে বিমান সংস্থাটি।
জটিলতা যেন পিছু ছাড়ছে না সৌদি প্রবাসীদের। দিন গড়াচ্ছে তবু মিলছে না সমাধানের পথ। সরকারের আশ্বাস আর দুতিয়ালিতেও ফল মিলছে না। প্রথম দিনের বিক্ষোভের পর প্রাথমিক সমাধানের চারটি ফ্লাইট ল্যান্ডিংয়ের অনুমতির কথা জানালেও এর পর তার অগ্রগতি থমকে আছে।
তাই দিনে দিনে বাড়ছে ক্ষোভ। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রবাসীরা জড়ো হচ্ছেন কারওয়ানবাজার আর মতিঝিলে।
পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুসারে শনিবার ৩৫০ টি টিকেট দেওয়ার কথা থাকলেও ৫৫০ টি টিকেট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি এয়ারলাইন্স। তবে বাইরে তখন হাজার হাজার টিকিট প্রত্যাশী।
টিকিট না হয় থাক, তাদের দাবি টোকেন। কিন্তু তারিখ বদলে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের ঘোষণা ৪ অক্টোবর আগে মিলবে না টোকেন। আর এতেই তৈরি হয় নতুন করে সংকট। কেউ আবার অভিযোগ করছেন টিকিট কালোবাজারির।
বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা এক পর্যায়ে প্রধান সড়ক আটকে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। বিপাকে পড়েন অফিসগামী যাত্রীরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নিলেও সোনারগাঁ মোড়ে অবস্থান নেয় তারা।
একই অবস্থা মতিঝিল বিমানের অফিসে। এ পর্যায়ে টিকেট বিক্রির শেষ দিনে অবশিষ্ট দেড়’শ টিকিটের বিপরীতে সেখানে অবস্থান করছে কয়েক হাজার প্রবাসী। এসময় পুলিশের সঙ্গে দফায় দাফায় হাতাহাতিতে জড়ান টিকিট প্রত্যাশীরা ।
তবে বিমান কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব নতুন করে ল্যান্ডিং পারমিশন না পাওয়ায়, নতুন কোনো ফ্লাইট বুকিং দেয়া সম্ভব নয়।
প্রবাসীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানে দ্বিতীয় বিশেষ ফ্লাইটটি শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।