বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন
২০১৯ বিশ্বকাপে খারাপ পারফর্ম করায় অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। এরপর ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে করেন দুর্দান্ত পারফর্ম, ওই সিরিজেই ছাড়েন নেতৃত্ব।
তারপর দীর্ঘ এক বছর কেটে যায় খেলা ছাড়া। ২০২১ সালের শুরুতে বাংলাদেশ সফরে আসে উইন্ডিজ। খেলে ৩টি ওয়ানডে ও ২টি টেস্ট। এই সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা করলে সেখানে ছিল না মাশরাফীর নাম।
কিন্তু কোন অজুহাতে বাদ দেয়া হয় দেশের সেরা এই অধিনায়ক ও পেসারকে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর না দিতে পারলেও নির্বাচকরা, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানান ফিটনেসের কারণেই বাদ পড়েন মাশরাফী।
তবে কী সত্যিই ফিটনেসের কারণে বাদ পড়েন মাশরাফী? বেসরকারি একটি টেলিভিশনে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে মাশরাফী বলেন, কুড়ি বছরের ক্যারিয়ারে কখনোই ফিটনেস ইস্যুতে বাদ পড়েননি তিনি। এমন কী ফিটনেসের পরীক্ষায় বেঁধে দেয়া নম্বরের চেয়ে কম পাননি তিনি।
‘আমার যতই ইনজুরি আসুক, যতকিছুই হোক। বিগত বিশ বছরে আমার একটা ফিটনেস টেস্টে ফেল নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট তো আজকের না, ১৯৮০ সাল থেকে। আমি ওই সময় প্লেয়ার ছিলাম না। আমি ২০০১ থেকে শুরু করে ২০২০ সাল পর্যন্ত যেকোনো জায়গায় একটা ফিটনেস টেস্টে আমাকে ফেল দেখান, যেকোনো জায়গায়।’
মাশরাফী আরও বলেন, ‘আমাকে বাদ দেয়ার সময় কোনো আলোচনাই আমার সঙ্গে করা হয়নি। অথচ বিসিবি বলছে, আলোচনা হয়েছে।
মাশরাফী প্রশ্ন রাখেন, যারা তার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তারা আদৌ অফিস করে কি না।
‘অনেকে হয়তো বলেছে মাশরাফি হয়তো ফিট নাও থাকতে পারে। আমি তখন ভেবেছি এরা কি কোনো তথ্য রাখে। দর্শকরা অনেক কিছু না জেনেই বলতে পারে। কিন্তু বিসিবির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে যারা বলতেছে খুবই অবাক লাগে উনারা কি আসলে আদৌ অফিস করে?’
সুত্র barisalcrimetrace.com