শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম সালমান শাহ। তার মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
ঢালিউডের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়কের মৃত্যুর ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা— সে বিষয়টিই উঠে আসবে পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবে সংস্থাটি।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) রিয়াজুল মাসুদ গণমাধ্যমে পাঠানো মোবাইল এসএমএসে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এসএমএসে বলা হয়েছে, সালমান শাহ’র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায়।
প্রতিবেদনে কী থাকছে— সে বিষয়ে জানতে পিবিআইয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিস্তারিত জানতে সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টম্বর তারিখে ১১ বি নিউ ইস্কাটন বাসায় সালমান শাহ ও তার স্ত্রী সামিরা বসবাস করতেন। সেদিন তার পিতা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী তার বাসা থেকে সিলেট যাওয়ার জন্য তার স্ত্রী নীলা চৌধুরী ও তার ছোট ছেলে নিয়ে সালমানের বাসায় যায় এবং তার স্ত্রী বলে, সিলেট যাবে মর্মে সালমান শাহ’র বাসায় যায়। তারা বাসায় গিয়ে দেখে সালমান ঘুমাচ্ছে।
পরে সিলেট রওনা হলে মাঝ পথে বাসা থেকে সেলিম নামক এক ব্যক্তি তার পিতাকে ফোন করেন এবং বলে তার ছেলের অবস্থা ভাল নয়। পরে তারা দ্রুত সালমানের বাসায় আসে। সেখানে দেখে অপরিচিত কয়েকজন নারী সালমানের হাতে ও পায়ে তেল মালিশ করছে।
পরে তারা তাকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে সালমানের গলায় দড়ির দাগ দেখতে পায় এবং মুখ মন্ডল,হাত ও পা নীল হয়ে গেছে। পরে ঐ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানের ডাক্তাররা বলেন সে আনেক আগেই মারা গেছে। সালমানকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখন বাসায় বাদল খন্দকার, সামিরা ও বাসায় ছিল। এ ঘটনায় রামনা থানায় সেদিনই সালমান শাহ বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুবুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে চুড়ান্ত রিপোর্ট দেন।
সেই চুড়ান্ত রিপোর্টের আলোকে আদালত নীলা চৌধুরীকে নোটিশ পাঠালে তিনি তার আইনজীবী নিয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হন এবং মৃত্যু রহস্য উৎঘাটনের জন্য না-রাজী দরখাস্ত দেয়ার জন্য আবেদন করেন।
আদালত শুনানী শেষে না-রাজী দরখাস্ত গ্রহণ করে র্যাব হেড কোয়াটারকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।