রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ন
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুন মিয়া (৩৫) বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোররাতে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাঁনপুর বাজার এলাকায় বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। নিহত মামুন ওই এলাকার মুছা মিয়ার ছেলে। এএসআই আমির হোসেনকে হত্যার পর থেকে মামুন পলাতক ছিল।
র্যাব ১৪, ভৈরব ক্যাম্পের সহকারি পরিচালক চন্দন দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত এএসআই আমির হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুনকে ধরতে র্যাবের একটি দল সদর উপজেলার চাঁনপুর বাজারে যায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মামুন ও তার সহযোগিরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে মামুন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মামুন কে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পাঘাচং বাজারে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মামুনকে গ্রেপ্তারের সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সে ছুরি দিয়ে এএসআই আমির হোসেনের বুকের বাম পাশ ও মাঝখানে আঘাত করে। এতে এএসআই আমির মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় আরেক সহকর্মী এএসআই মণি শঙ্করও আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এএসআই আমিরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে সদর থানায় পাঁচজনকে আসমী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মামুন মিয়ার ছোট ভাই ইসমাইল মিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, নিহত মামুনের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও মাদক সহ চারটি মামলা আমরা এই পর্যন্ত পেয়েছি। অনুসন্ধান চলছে, তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকতে পারে।