বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
হাইড্রোকেফালাস রোগে ভুগছে শিশু কাইজার রহমান। বয়স মাত্র ছয় মাস। এই বয়সেই শিশু কাইজার রহমানের মাথা বাড়তে-বাড়তে অস্বাভাবিক আকার ধারণ করছে। দিন যতই যাচ্ছে মাথার আকার ততই বড় হচ্ছে। মাথার ওজনে শিশু কাইজার রহমান শরীরের ভারসাম্য হারাতে বসেছে। শিশু কাইজার রহমানের পাশাপাশি এত বড় মাথা নিয়ে অনেক কষ্ট পোহাচ্ছেন মা কল্পনা বেগমও। আগামী ২০ দিনের মধ্যে কাইজার রহমানের অপারেশন করাতে না পারলে তাকে বাঁচানো কষ্টসাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাই অপারেশনের টাকা জোগাতে সন্তান কোলে নিয়ে এই করনোকালেই মানুষের দাঁড়ে দাঁড়ে হাত পাতছেন বাবা-মা ও চাচা।গাইবান্ধা সদর উপজেলার পশ্চিম খোলাবাড়ী গ্রামের আমিনুর রহমান ও কল্পনা বেগম দম্পত্তির দ্বিতীয় সন্তান কাইজার রহমান। কল্পনা বেগম জানান, জন্মের সময় ওর মাথা স্বাভাবিক ছিলো। কিন্ত তিন মাস পর থেকে ওর মাথা আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। বর্তমানে ওর মাথার ওজন অনেক বেড়ে গেছে। মাথার বেশি ওজনের কারণে শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারছে না। এই অবস্থায় ওকে কোলে নিয়ে থাকাও কষ্টসাধ্য। প্রথমদিকে স্থানীয়ভাবে কাইজার রহমানের চিকিৎসা করানো হয়েছে। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রংপুরে একজন চিকিৎসকের কাছে। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওকে বাঁচাতে হলে দ্রুত মাথায় অপারেশন করতে হবে।কাইজার রহমানের বাবা দিনমজুর আমিনুর রহমান জানান, তার কোন সহায়সম্পত্তি নেই। নেই কোন আর্থিক স্বচ্ছলতা। অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি করেই চলে তার সংসার। কিন্তু ছেলের অপারেশনের জন্য চিকিৎসকরা ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছে। তাই এই টাকার জন্য সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। মানুষের কাছে হাত পাতছেন। আগামী ২০ দিনের মধ্যেই মাথায় অপারেশন করাতে না পারলে ওকে বাঁচানো কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।শিশু কাইজার রহমানের চাচা শাহীন রহমান বলেন, ওর সু-চিকিৎসার জন্য আমরা মানুষের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি। মাত্র ৪০ হাজার টাকা হলেই বাঁচানো যাবে কাইজার রহমানকে। অনেকের কাছে এই টাকা কিছুই না। তাই আমাদের অভাবী পরিবারের কথা ভেবে শিশু কাইজার রহমানকে বাঁচাতে সবাই সাহায্য করবেন।গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হারুন অর-রশিদ বলেন, চিকিৎসাশাস্ত্রে এই রোগকে “হাইড্রোকেফালাস” বলে। শিশু মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় মাথায় পানি জমলে এমনটি হয়। জন্মের পর দ্রুত সু-চিকিৎসা না পেলে দিনদিন সেই শিশুর মাথা আরো বাড়তে থাকবে। হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা করালে এই রোগ ভালো হতে পারে।
সুত্র bd24live.com