বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
আর্থিক নানা সংকট ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পিরোজপুরের নাজিরপুরে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে গ্রেফতারকৃত বড় ছেলে য্যোতিশ বালা। ঘটনাস্থল উত্তর জয়পুর থেকে আটকের পর তাঁর স্বীকারোক্তিতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দাও পাশ^বর্তী ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম তার সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রেসকনফারেন্সে এসব তথ্য জানান।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়েন উত্তর জয়পুর এলাকায় জুতিকা বালাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত জুতিকা বালা (৫০) জেলার উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামের গ্রামের বাসিন্দা নারায়ন বালার স্ত্রী। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করে নিহতের বড় ছেলে য্যোতিশ বালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে সে পুলিশের কাছে তার মাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
সে জানায়, দীর্ঘদিন যাবত আর্থিক নানা সংকট ও পারিবারিক বিরোধের কারণে তার মায়ের উপরে ক্ষোভ ছিলো, তার মা কিছুটা মানসিকভাবে অসুস্থ্য ছিলো, তারা ৪ ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই ঢাকায় থাকে, বাস দুর্ঘটনায় ছোট ভাই ক্ষিতিশের একখানা পা কেটে ফেলায় সে এক রকম পঙ্গু, তার মায়ের সাথে ঝগড়া করে স্ত্রী বাড়ী ছেড়ে চলে গেছে, তাছাড়া মায়ের জন্য প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা ঔষধ কিনতে খরচ হতো, উপজেলা সদর সংলগ্ন কালিবাড়িতে তার চায়ের দোকানটিই পরিবারের একমাত্র আয়ের উৃৎস, বৃদ্ধ বাবাই রান্না-বান্নসহ সাংসারিক কাজ করত। ওদিকে তার একটি ৭বছর বয়সী মেয়ে আছে। তাই পূর্বপরিকল্পিকভাবে ঘটনারদিন রাতে ঘরে থাকা দা দিয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে য্যোতিশ। হত্যা নিশ্চিত করতেই য্যোতিশ মাকে কুপিয়ে পাশ^বর্তী এক বাড়ীতে গিয়ে বসে ছিলো ।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম আরো জানান, এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় হিহতের স্বামী নারায়ন বালা বাদী হয়ে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো: মুকিত হাসান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: রবিউল ইসলাম, নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহ আলম হাওলদার, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বিশেষ শাখা সহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ।