বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
এনামুল কবির সোহেলঃ
নির্যাতিত সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি (বিএসসি)’র রেসপন্স টিম এখন নওগাঁয়।
জানা যায়, নওগাঁয় সংবাদ সংক্রান্ত জের ধরে পর পর দু’দফায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি (বিএসসি)’র কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য ও মাল্টিমিডিয়া নিউজ বার্তা ২৪.কম-এর নওগাঁ প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম। পরে তার খোঁজখবর নিতে ও তাকে সহায়তা দিতে নওগাঁয় ছুটে যান কেন্দ্রীয় রেসপন্স টিমের সদস্যরা।
আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) টিমের সদস্যরা নওগাঁয় পৌঁছেছেন। এর আগে নবগঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি (বিএসসি)’র আহ্বায়ক এম রায়হান ও সদস্য সচিব আলপনা বেগমের তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় কাজ করে কুইক রেসপন্স টিম। এ টিমের লিডার করা হয়েছে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ আরেফিনকে।
টিমের সদস্যরা জানান, নওগাঁর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক সমাজের পরামর্শ, সহায়তায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। সার্বিক খুঁটিনাটি বিষয় তারা তদারকি করবেন বলেও জানান।
বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটির প্রধান উপদেষ্টা দৈনিক দেশবাংলা সম্পাদক সাঈদুর রহমান রিমনসহ রেসপন্স টিমে রয়েছেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ আরেফিন, আফজাল হোসেন (এনটিভি), যুগ্ম আহ্বায়ক হায়দার হোসাইন (বিএসএস), যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আকরাম (নয়াদিগন্ত), সদস্য সাখাওয়াত জামিল দোলন (বাংলাভিশন), আলমগীর হোসেন (চ্যানেল এস) ও আবুল বাশার পলাশ (এশিয়ান টিভি)।
উল্লেখ্য, ১৬ অক্টোবর দুপুরে শহিদুলের পার্শ্ববর্তী গ্রাম গোবিন্দপুরে এক নওমুসলিম পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এমন খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে প্রথম দফায় হামলার শিকার হন শহিদুল। পরে হামলাকারীদের অপকর্ম তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এর জের ধরেই দ্বিতীয় দফায় তার ওপর আবারও সংঘবদ্ধ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, প্রথম হামলার ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেন শহিদুল এবং একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই মামলায় ৩ নম্বর আসামি নাহিদ হোসেন।
দ্বিতীয় দফা হামলাটি হয়েছিল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলার চাকলা বাজার এলাকায়। নাহিদ হোসেন নামে এক যুবকের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে ১৫-২০ জন ওই হামলা চালায়। নাহিদ নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের গোলামের ছেলে ও তার সহযোগি পলাশ এবং তার বাবা উকিল মিয়া হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওইদিন অচেতন অবস্থায় শহিদুলকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হামলার শিকার সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৬ অক্টোবর প্রথম দফা হামলার শিকার হয়ে নাহিদসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিয়েছিলাম। এরপরই হামলাকারীরা আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলো আত্মগোপনে থাকা নাহিদ বাহিনীর সদস্যরা। নাহিদ মূলত অন-লাইনে জুয়ার এজেন্ট দেয় ও অবৈধভাবে ডলার লেনদেন করে যুবসমাজকে ধ্বংস করছে প্রতিনিয়ত। নাহিদসহ তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।