জহির সিকদার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা

পুলিশ হত্যার সঠিক বিচারের খুশিতে
সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে
মিছিল সহ উল্লাস করে ওই ইউনিয়নে ভাটপাড়া, পাঘাচং ও চান্দপুর গ্রামে প্রায় এক মণ মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। এসময় তারা স্লোগান দেয় ‘পুলিশ হত্যা বিচার হওয়ায় র‍্যাবকে অভিনন্দন’।

মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সদর মডেল থানার এএসআই আমির হত্যাকাণ্ড, অস্ত্র ও মাদক মামলাসহ বহু মামলার আসামী র‍্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়ে সন্ত্রাস মুক্ত হওয়ায় তিনটি গ্রামের মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে। তাই বিকেলে এলাকাবাসী উল্লাস প্রকাশ করে মিছিল করে মিষ্টি বিতরণ করে।

এদিকে, সোমবার ভোররাতে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাঁনপুর বাজার এলাকায় র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামী মামুন মিয়া। সে ওই এলাকার মুছা মিয়ার ছেলে।

র‍্যাব ১৪, ভৈরব ক্যাম্পের সহকারি পরিচালক চন্দন দেবনাথ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত এএসআই আমির হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুনকে ধরতে র‍্যাবের একটি দল সদর উপজেলার চাঁনপুর বাজারে যায়। এ সময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মামুন ও তার সহযোগিরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে মামুন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে ২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পাঘাচং বাজারে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মামুনকে গ্রেপ্তারের সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সে ছুরি দিয়ে এএসআই আমির হোসেনের বুকের বাম পাশ ও মাঝখানে আঘাত করে। এতে এএসআই আমির মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় আরেক সহকর্মী এএসআই মণি শঙ্করও আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এএসআই আমিরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে সদর থানায় পাঁচজনকে আসমী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মামুনের ভাইসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নিহত মামুনের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও মাদক সহ ৮টি মামলা ছিল।