শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৩ অপরাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাজশাহীর লোক আমাদের খুব একটা ভোট দেয় না। তারা ভোট দেয় অন্য জায়গায়। কিন্তু এ অঞ্চলের উন্নয়ন হয় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে। সেদিক লক্ষ্য রেখেই আমরা প্রযুক্তি শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রযুক্তির শিক্ষা নিয়ে এ অঞ্চলের উন্নয়ন হবে। অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের উদ্যোগ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, রাজশাহীতে নির্মিত ‘শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’, শতভাগ বিদ্যুতায়িত ৭টি জেলা, ১টি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র এবং ১৮টি জেলার ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে বাংলাদেশের ৪১০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হলো। মুজিববর্ষে বাংলাদেশের সব ঘরে আলো জ্বলবে। কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে তারা প্রতিযোগিতমূলক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। এজন্য প্রথমত প্রযুক্তি শিক্ষা একান্ত দরকার। দ্বিতীয়ত, কর্মসংস্থান ও কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র প্রয়োজন। এজন্য আমরা দেশের উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপও নিয়েছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে থাকবে না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর বেশি জোর দিয়েছি। এ পর্যন্ত সারা দেশে আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছি।’
তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে আমরা এমনভাবে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চাই যেন বিশ্বের উন্নত দেশের শিক্ষার্থীদের চাইতে কোনো অংশে পিছিয়ে না থাকে। আমরা আইসিটি এবং কর্মমুখী শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস, কর্মমুখী শিক্ষা ও আইটি শিক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এ কারণে আজ অনেকেই আউটসোর্সিং করে অনেক টাকা রোজগার করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত একটি দেশ হবে। এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন বিশ্বের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে, সে জন্য আমরা ২১০০ সালকে সামনে রেখে ডেল্টাপ্লান ২১০০ ঘোষণা করে কাজ করে যাচ্ছি।’
এ সময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বেলা ১১টায় বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মাসব্যাপী নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।