শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কাজ করছেন। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বিদেশফেরত প্রবাসীদের আলাদা (আইসোলেট) করে রাখতে স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছি। সে নির্দেশ অনুযায়ী তারা কাজ করছেন।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ঢাকা মহানগরী ও তার আশেপাশে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা নির্ধারণে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রনালয় সভা শেষে এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের বিদেশফেরত প্রবাসীদের আইসোলেট করে রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা কাজ করছেন।
তাজুল বলেন, দেশে করোনাভাইরাসে ‘হোম গ্রোন এফেকটেড’ পারসন নেই। আর সরকার এই বিষয়টি নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সার্বক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাই কারো আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কাজ করছি। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনও গত বছরের মতো যেকোনো ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এডিস মশা নিধনের জন্য দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছেই প্রয়োজনীয় কার্যকর ওষুধ মজুদ রয়েছে। শুধু এডিস মশা নয়, কিউলেক্স মশাসহ অন্য যেকোনো প্রজাতির মশা নিধনের জন্যও দুই সিটি কাজ করছে।
মন্ত্রী এ বিষয়ে আরো বলেন, আমরা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। মশক নিধনের কাজ আরো জোরদার করা হবে। এ কার্যক্রমকে আমরা সহজভাবে গ্রহণ করছি না। কঠিন কাজ হিসেবেই গ্রহণ করেছি।
ঢাকার খালগুলোর বিষযে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকার ৫০টি খালের মধ্যে ২৬টির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হয়েছে। বাকী ২৪টি খালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে তাজুল বলেন, রাজধানীতে জলাবদ্ধতার যে দুঃখজনক রেকর্ড আছে তার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন এ খানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।