বরিশাল বানারীপাড়ায় একের পর এক অপকর্ম চলে বেড়াচ্ছে বানারীপাড়া সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হসপিটালের থাকা সত্ত্বেও কর্মরত থাকা ।অফিস সময়ে হাসপাতালের পাশের ক্লিনিকে সিজার অপারেশনে ব্যস্ত থাকায় রোগীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। ঠিক সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিনিধি কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রায়ই অফিস সময়ে হাসপাতাল পার্শ্ববর্তী ক্লিনিকে থাকেন। গতকাল বুধবার সকাল থেকে তিনি ওই ক্লিনিকে ৩ টি সিজার অপারেশন করেন। এরা হলেন বাইশারীর শারমিন, সংগিতকাঠীর রিয়া এবং বাইশারীর খাদিজা বেগম। এ রোগীদের কাছে ১১ থেকে ১২ হাজার টাকায় অপারেশনের জন্য চুক্তি করা রোগীর আত্মীয়রা জানান। এসময় অনেক রোগীর অপেক্ষায় থেকে হাসপাতাল থেকে ফিরে যান। অপর দিকে ডিএসএফ’র ডা: মীরা মজিদ অফিস সময়ে হাসপাতালে হাজিরা দিয়ে বাইরের ক্লিনিকে প্রাকটিস এবং বিভিন্ন অপারেশনে ব্যস্ত থাকেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: এস এম কবির হাসান বলেন, অফিস সময় বাইরের ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়ার নিয়ম নেই। আবার অনেক সময় কিছুইর নিয়ম থাকেনা। বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অপারেশনের সকল সুবিধা থাকলেও বাইরে কেন সিজার করা হয় জানতে চাইলে, এ বিষয়ে ডা: কবির বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রর স্থানীয় ম্যানেজার হিসেবে সবাইর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি বেড করোনার জন্য পৃথক রাখা হয়েছে বলে পার পাইতে চান। এজন্য হাসপাতালের ওটি ব্যবহারে সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে তিনি জানান একজন ডাক্তার হিসেবে মানবিক কারনে হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা করা যায়। ডাক্তার মীরা মজিদের অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার ব্যপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ডাক্তার কবির জানান, এ ব্যপারে তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং উপরে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য বানারীপাড়া হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে একটি দালাল চক্র সক্রিয় ভাবে বাইরের ক্লিনিকের সাথে সক্ষতা রেখে কাজ করছে। #এবং কি এক ধরনের দালালচক্র ক্লিনিক হসপিটাল কোন কিছু ঘটে যাওয়ার আগেই অর্থের বিনিময়ে মুখ বন্ধ হয়ে যায়।